জেনে নিন সাগর কলার স্বাস্থ্য উপকারীতা
কলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা ভাল জন্মায়।বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল।কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভাল উৎস। এতে কঠিন খাদ্য উপাদান এবং সেই সাথে পানি জাতীয় উপাদান সমন্বয় যে কোন তাজা ফলের তুলনায় বেশি। বিভিন্ন প্রজাতির কলা পাওয়া যায় তবে আজকের লেখাতে থাকছে আপনাদের জন্য সাগর কলার স্বাস্থ্য উপকারীতা।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সাগর কলার স্বাস্থ্য উপকারীতাগুলোঃ
(১) শরীরের পেশির সুস্থতার জন্যও কলা বেশ উপকারী। ব্যায়ামের আগে কিংবা পরে সাগর কলা খান। এটি আপনার পেশীর সমস্যা দূর করবে এবং পায়ের মজবুত পেশী গঠনে সাহায্য করে।
(২) শরীরে হিমোগ্লোবিন ও ইনসুলিনের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-বি৬ প্রয়োজন। আর সাগর কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি৬ আছে, যা দেহে পুষ্টি যোগিয়ে থাকে।
(৩) যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সাগর কলা রাখুন, দেখবেন রক্তচাপ আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।এছাড়া সাগর কলা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন একটি করে কলা খান।
(৪) গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক যে চাপের জন্য উচ্চতাপমাত্রা হয়ে থাকে সেটা সাগর কলা খেলে ঠান্ডা এবং নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়াও কালো দাগে ভরা কলার ভেতরে টিএনএফ মজুদ থাকে। ফলে খুব সহজেই সেটি আপনাকে দূরে রাখতে পারে ক্যান্সার হতে পারে এমন ধরনের টিউমর থেকে।
(৫) যাদের গ্যস্ট্রিক বা আলসার রয়েছে, যারা বুকে জ্বালা পোড়া অনুভব করেন তাদের জন্য সাগর কলা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসাবে কাজ করে। এবং সেই সাথে কোথাও পোকামাকড় কামড় দিলে কোন মলম দেবার আগেই যদি কলা সেই জায়গাতে দেয়া যায়, তাহলে লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ভাবটা কমে যায়।
এছাড়াও কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। চুলকালে সেই অংশে কলার খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হবে এবং দ্রুত দাদ সেরে যাবে। তাহলে আর দেরি কেনো খাদ্য তালিকায় আজই রাখুন সাগর কলা এবং সুস্থ থাকুন।