Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
হলুদ চা

জেনে নিন হলুদ চা পানের উপকারীতা

Desk | আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২৩:৩৫
জেনে নিন হলুদ চা পানের উপকারীতা

চা খেতে কমবেশি অনেকেই পছন্দ করে থাকে তা বন্ধুদের আড্ডায় বলেন সকালের নাস্তায় হোক আর বিকেলের অবসর কাটানোর জন্য হোক না কেনো এক কাপ চা চাই। চা সাধারনত দুই ভাবে খাওয়া হয়ে থাকে এক দুধ চা আর এক রঙ চা কিন্তু আপনি কি জানেন এই চায়ের পরিবর্তে সাথে যদি অল্প হলুদ মেশালে অথবা গরম পানিতে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে খেলে শরীরের ভেতরে এমন পরিবর্তন হতে শুরু করে যে কোনও রোগই আক্রমণের সাহসই পায় না। হয়ত তা আপনার অজানা নয়, তবে সমস্যা নেই আজকের লেখাতে থাকছে আপনাদের জন্য হলুদ চা পানের উপকারীতা। প্রথমে আসুন জেনে নেই হলুদ চা তৈরি পদ্ধতিঃ
যা যা  লাগবেঃ
১। হলুদ
২। পানি
৩। মধু
৪। লেবুর রস
৫। দুধ

প্রস্তুত প্রণালীঃ
১। ৩-৪ কাপ পানি ফুটিয়ে নিন প্রথমে। পানি ফুটতে শুরু করলে তাতে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মেশান। হলুদ মেশানোর পর কম করে ৫-১০ মিনিট পানি নারাতে থাকুন। সময় হয়ে গেলে পানি ছেঁকে নিন।
২। এবার অল্প করে মধু, লেবুর রস এবং দুধ মিশিয়ে নিন। আপনার হলুদ চা তৈরি। এবার গরম গরম পান করুন।

আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক হলুদ চা পানের উপকারীতাগুলোঃ

১। স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে : হলুদে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের শরীরে থেকে বার করে দেয়। ফলে ব্রেন সেল ড্যামেজের আশঙ্কা কমে। অন্যদিকে কার্কিউমিন মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে বুদ্ধির জোরও বাড়তে থাকে।

২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : একাধিক পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ হলুদ দিয়ে বানানো চা খেলে শরীরের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে থাকে, যার প্রভাবে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন একেবারে হাতের মুঠোয় চলে আসে।

৩। আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমে : সকাল-বিকাল মিলিয়ে দু-কাপ হলুদ চা পান করলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জয়েন্ট পেন এবং প্রদাহ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, হলুদে কার্কিউমিন নামে একটি উপাদানের সন্ধান পাওয়া যায়। এই উপাদানটি যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪। ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে : ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ, শরীরে যাতে ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন হলুদ চা খাওয়া কতটা প্রয়োজন।

৫। খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায় : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন রক্তে জমতে থাকা এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে স্বাভাবিভাবেই হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। আসলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যত কমতে শুরু করে, তত হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

৬। হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় : বাঙালি মানেই জন্ম খাদ্যরসিক, আর পেটুক মানেই বদহজম রোজের সঙ্গী! তাই তো প্রতিটি বাঙালির নিয়ম করে হলুদ চা খাওয়া উচিত। কারণ হলুদে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান পাকস্থলিতে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়ার শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজন ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে বদ-হজম দূরে পালায়

৭। হার্টের স্বাস্থের উন্নতি ঘটে : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত হলুদ দিয়ে বানানো চা খেলে হার্টে রক্ত সরবরাহকারি আর্টারিদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার বা হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, স্ট্রোকের মতো মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতেও হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হার্টকে যদি দীর্ঘদিন চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে হলুদ দিয়ে বানানো চা খাওয়া মাস্ট।

উপরে