Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
কিশমিশ খেলে?

জানেন কি কিশমিশ খেলে কোন কঠিন রোগগুলো দূর করা সম্ভব?

Desk | আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৮:৫৭
জানেন কি কিশমিশ খেলে কোন কঠিন রোগগুলো দূর করা সম্ভব?

কিশমিশ খুব পরিচিত একটি খাবার। কিশমিশ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিশমিশ থেকে দূরে থাকাই ভালো।

১। মনযোগ বৃদ্ধি করেঃ

কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।

২। উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

৩। কোলেস্টেরলের সমস্যা কমায়ঃ

কিশমিশ কলেস্টোরলের সমস্যা কমায় কিশমিশে খারাপ কলেস্টোরল রয়েছে ০%। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কলেস্টোরল দূর করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।

৪। চোখের যত্নেঃ

চোখের সুরক্ষা করে কিশমিশ।প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

৫। অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়ঃ

অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান করে কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।

৬। কন্স্যার প্রতিরোধ করেঃ

কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে।এছাড়াও কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।

৭। রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ

দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

৮। দাঁতের যত্নেঃ

অনেকে ভাবে কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

উপরে