জেনে নিন গোলমরিচের উপকারীতাগুলো
গোল মরিচ পিপারাসি গোত্রের পিপার গণের একটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ। এদের ফলকে শুকিয়ে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গোল মরিচ ফলটি গোলাকার, ৫ মিলিমিটার ব্যাসের, এবং পাকা অবস্থায় গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১টি মাত্র বিচি থাকে। গোল মরিচ গাছের আদি উৎস দক্ষিণ ভারত। পৃথিবীর উষ্ণ ও নিরক্ষীয় এলাকায় এটির চাষ হয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই রান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়াতে গোলমরিচ ব্যবহার করা হলেও গোলমরিচের অন্যরকম কিছু ব্যবহার রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই অজানা। আর আজকের লেখাতে থাকছে আপনাদের জন্য গোলমরিচের উপকারীতাগুলো।
আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক গোলমরিচের উপকারীতাগুলোঃ
১। গোলমরিচ খেলে পাকস্থলী থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসৃত হয় যা খাবার দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে এবং অরুচি দূর করে ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়।
২। পেশীর ব্যথা কমাতে গোল মরিচ তেলের ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে সাথে সাথে মাংশ পেশী শক্ত করতে সাহায্য করে থাকে। ২ টেবিল চামচ গোল মরিচের তেলের সাথে ৪ চা চামচ রোজমেরী তেল বা আদার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। মাংশ পেশির যেখানে ব্যথা করবে সেখানে এই তেল ব্যবহার করুন। ব্যথা কমে যাবে।
৩। ঠাণ্ডা, কাশি দূর করতে আমরা আদা, লবঙ্গের ব্যবহার সম্পর্কে জানি। কিন্তু গোলমরিচও অনেক ভাল কাশি উপশমকারী। চীনে চায়ের সঙ্গে গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করা হয় ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য। ১ টেবিল চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, ২ টেবিল চামচ মধু এক কাপ পানির মধ্যে দিয়ে জ্বাল দিন। ১৫ মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর নামিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে পান করুন। দেখবেন নিমিষেই আপনার কাশি গায়েব হয়ে গেছে।
৪। ধূমপান ছাড়তে চান তাহলে জেনে নিন গোলমরিচের এই ব্যবহারটি। একটি তুলায় গোলমরিচের তেল মাখিয়ে নিন। যখন আপনার ধূমপান করতে প্রচণ্ড ইচ্ছা করবে তখন গোলমরিচের তেল ভেজানো তুলার ঘ্রাণ নিন। দেখবেন ধূমপানের ইচ্ছা একদম চলে গেছে।
৫। ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে ৫ ফোঁটা গোল মরিচের তেল এবং ইউক্যালিপ্টাস তেল পানির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ওপর কয়েকবার নিঃশ্বাস নিন। দেখবেন বন্ধ নাক খুলে গেছে এক নিমিষে।
এছাড়াও ত্বকের যত্নে গোল মরিচ ব্যবহার করতে পারেন। গোল মরিচে আছে অ্যান্টি ব্যাক্টরিয়্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করে থাকে। এটি ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে।