কাঁচা আমের গুণাগুণ
আগেকার দিনে দাদি-নানিরা বাচ্চাদের কাঁচা আম খেতে দিতেন না। কাঁচা আমে নানা ধরনের রোগ হয় এমন ধারণাই সে সময়ে মনে পুষে রাখতেন। দিন পাল্টেছে। এখন কাঁচা আমের জুস, আচার আরও কত কি মানুষ খেতে পছন্দ করেন। কাঁচা আমের গুণাগুণ বিশ্লেষণ করতে গেলে অনেক কথাই বলতে হয়। আর আজকের লেখাতে তাই আপনাদের জন্য থাকছে কাঁচা আমের গুণাগুণ গুলো।
আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আমের গুণাগুণ গুলোঃ
১। পানির ঘাটতি রোধ করে
গরমে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি বাহির হয়ে যায়। শরীরের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এবং পানির ঘাটতি পূরণের জন্য সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
২। এসিডিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
খাদ্যাভ্যাসের জন্য বেশিরভাগ মানুষই এসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন। কাঁচা আম খেলে এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঔষধ গ্রহণ ছাড়াই আপনার হজমে সাহায্য করবে কাঁচা আম।
৩। পেটের সমস্যা দূর করে
গরমের সময় বেশিরভাগ মানুষের পেটে সমস্যা হতে দেখা যায়। ডায়রিয়া, আমাশয় ও বদহজমের মত সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে কাঁচা আম। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম।
৪। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ করে
কাঁচা আম খেলে আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করে। স্কার্ভি, অ্যানেমিয়া ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। কাঁচা আমের পাউডার বা আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
৫। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
কাঁচা আম আলফা ক্যারোটিন ও বিটা ক্যারোটিনের মত ফ্লাভনয়েড সমৃদ্ধ। এই সব উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
৬। লিভারের সবচেয়ে ভালো বন্ধু
লিভারের রোগ নিরাময়ের একটি প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে কাঁচা আম। যখন কাঁচা আম চিবানো হয় তখন পিত্ত থলির এসিড ও পিত্ত রস বৃদ্ধি পায়। এর ফলে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন পরিষ্কার করে।
৭। রক্তের সমস্যা দূর করে
শরীরের কোষকে উজ্জীবিত করে কাঁচা আম এবং রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে ও নতুন রক্ত কোষ গঠনে সহায়তা করে। বিভিন্ন রকমের রক্তের সমস্যা যাদের থাকে যেমন- রক্তশূন্যতা, ব্লাড ক্যান্সার, রক্তক্ষরণের সমস্যা ও টিউবারকোলোসিসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে কাঁচা আম।
৮। এনার্জি প্রদান করে
আপনি কি জানেন কাঁচা আম আপনাকে প্রচুর এনার্জি দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে দুপুরের খাওয়ার পরে কাঁচা আম খেলে তন্দ্রা কাটিয়ে উজ্জীবিত হতে সাহায্য করে। কাঁচা আমের কষ মুখে লাগলে ও পেটে গেলে মুখে, গলায় ও পেটে ইনফেকশন হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।