জেনে নিন কলমি শাকের যত গুণ
পুষ্টিগুণে অনন্য এমন খাবারের নামের তালিকায় উঠে আসবে কলমি শাকের নাম। কলমি শাক মূলত ভাজি অথবা ঝোল রান্না করে ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়। এছাড়া এই শাক দিয়ে পাকোড়া, বড়া ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। কলমিশাক আঁশজাতীয় একটি খাবার। এতে খাদ্যউপাদান রয়েছে প্রচুর পরিমানে। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে। ভর্তা কিংবা ভাজি করে তরকারী হিসেবে খাওয়া হয় এই কলমি শাক।
প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকের পুষ্টিমান ঃ পানি- ৮৯ ৭ গ্রাম, আমিষ – ৩ ৯ গ্রাম, লৌহ – ০ ৬ গ্রাম, শ্বেতসার – ৪ ৪ গ্রাম, আঁশ – ১ ৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম – ০ ৭১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন – ০ ৯ মিলিগ্রাম, নায়াসিন – ১ ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি – ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালোরি – ৩০ কিলো ক্যালোরি।
এবার জেনে নেওয়া যাক কলমি শাকের কিছু উপকারিতাঃ
১। কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।
২। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ করে।সেই সাথে কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
৩। পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারি।
৪। জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।
এছাড়াও নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাহলে আর দেরি কেনো আজ থেকেই খাবার টেবিলে রাখুন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কলমি শাক।