কিসমিস ভেজানো পানির যত গুণ
কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কিসমিস খাওয়া উচিত। কারন এতে আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিসে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সহজে রোগমুক্তি করতে সাহায্য করে।
উপকারিতাঃ
কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেটা খান। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। জেনে নিন নিয়মিত কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়ার যত গুণ গুলো সম্পর্কেঃ
১। ব্লাড প্রেসার কমাতেঃ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২। রক্ত স্বল্পতা কমায়ঃ
রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিস অনেক বেশি উপকারি। নিয়মিত খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৩। হজমশক্তি বাড়ায়ঃ
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন পনেরো পরেই।
৪। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তবে ভেজা কিসমিস এবং তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫। বিষমুক্ত শরীরঃ
শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
৬। কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়ঃ
নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।