অশ্বগন্ধা উদ্ভিদের উপকারীতা | 20fours
logo
আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৫:২৫
অশ্বগন্ধা
অশ্বগন্ধা উদ্ভিদের উপকারীতা
20Fours Desk

অশ্বগন্ধা উদ্ভিদের উপকারীতা

অশ্বগন্ধা  আমাদের সবার পরিচিত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। ইংরেজিতে একে বলা হয় Rennet এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Withania Xomnifera Dunal । অনেকে একে বাজিকরি বা বলদা নামেও ডেকে থাকেন। এই গাছ বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকায় পাওয়া যায়।গাছটি সাধারণত ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট  এবং শাখাবহুল হয়ে থাকে । এতে ছোট ছোট মটরের মতো ফল হয়। অশ্বগন্ধার মূল, পাতা, ফুল, ফল, ছাল, ডাল সবই ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া এবং মিশরের বিভিন্ন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর ওষুধি গুণের কথা পাওয়া যায়। অশ্বগন্ধা গাছের মূল এবং পাতা স্নায়ুর বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়।

রাসায়নিক উপাদানঃ

অশ্বগন্ধার উদ্ভিদের মূল রাসায়ানিক উপাদান হলো এলকালয়েড এবং স্টেরইডাল লেক্টন্স । এছাড়াও এতে আছে উইথেনাইন, সোমনিফেরি, মোনাইন, সোমনিফেরিনিন, এডাপটোজেন, উথেনিনিন, সিউডো ট্রপিন, সিউডো উথেনিনিন ট্রপিন, কোলাইন, এনাফেরিনিন, এনাহাইড্রিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি। এসব রাসায়নিক উপাদান বিভিন্ন ভাবে আমাদের অনেক উপকার করে থাকে।    

ভেষজ গুণঃ

১। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে খাওয়া যেতে পারে। চোখের ব্যথা দূর করতে অশ্বগন্ধা বিশেষ উপকারী। ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ক্ষেত্রেও অশ্বগন্ধা একটি কার্যকর ওষধু। অশ্বগন্ধার মূল অন্তর্ধুমে পুড়িয়ে  ভালো করে গুঁড়িয়ে নিয়ে আধা গ্রাম মাত্রায় একটু মধুসহ চেটে খেলে ক্রনিক ব্রংকাইটিসে উপকার হয়।

২। গ্যাস, পেট ফাঁপা, আলসার, গ্যাস্ট্রিক এবং পেটের ব্যথা নিরাময় সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী অশ্বগন্ধার ফল। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অশোধিত অশ্বগন্ধা গুঁড়ো বা পাউডার হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সুতরাং যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের অবশ্যই ভালো মানের অশ্বগন্ধা সেবন করতে হবে।

৩। অশ্বগন্ধা গাছের রস শক্তিবর্ধক। অশ্বগন্ধার এর মূল ও পাতা স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগে উপশম আনে। দুধ ও ঘিয়ের সঙ্গে পাতা ফুটিয়ে খেলে শরীরে বল পাওয়া যায়। শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার ভূমিকা অপরসীম।

৪। ইনসমোনিয়া বা অনিদ্রায় ভুগলে অশ্বগন্ধা উত্তম ওষুধ হিসাবে কার্যকর হতে পারে। ভালো ঘুমের জন্য অশ্বগন্ধা গুঁড়ো চিনিসহ ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। এতে ভালো ঘুম হবে।

৫। মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা, যেমন মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা, হঠাৎ সংজ্ঞাহীনতা, অবসাদ প্রভৃতি দূর করে অশ্বগন্ধা। একই সাথে এটি আমাদের মনোযোগ বাড়ায় এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করে সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করে।