বৎসরের সেপ্টেম্বরে - অক্টোবরে মৌসুমে গাছে ফুল আসে। ফল ধরে শীতে। ফল গোলাকার, ছোট থেকে মাঝারি। ফল আকারে ছোট, কমবেশী ২.৫ সেন্টিমিটার। ফল পাকলে রঙ হলুদ থেকে লাল বর্ণ হয়। কাচা ও পাকা উভয় পদের বরই খাওয়া হয়। স্বাদ টক ও কাঁচামিঠা জাতীয়। বরই রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। পাকা বরই শুকিয়ে চাটনী প্রস্তুত করা হয়।দেশি ফলের মধ্যে বরই বেশ জনপ্রিয়। কাঁচা অথবা আচার বানিয়ে খাওয়া যায় বরই। টক-মিষ্টি এই ফলটির রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।পুষ্টিগুণ ছাড়াও বরইয়ের রয়েছে অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আজকের এই লেখাতে আমরা জানবো এই বড়ইয়ের নানান পুষ্টিগুন গুলো।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বড়ইয়ের নানান পুষ্টিগুন গুলোঃ
(১) বরইয়ে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। গলার ইনফেকশন জনিত অসুখ যেমন-টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠান্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া রোধ করে।
(২) বরইয়ের রস অ্যান্টিক্যান্সার ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ফলে রয়েছে ক্যান্সার সেল, টিউমার সেল, লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ শক্তি।
(৩) উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারি। রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া খাবারে রুচি আনার জন্যও এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(৪) উচ্চমানের ভিটামিন এ রয়েছে এই ফলে। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং কোলস্টেরল কমানো জন্য রয়েছে এর চমকপ্রদ ক্ষমতা। এছাড়াও বরইয়ের খোসা খাবার হজমে সাহায্যে করে।
মৌসুমি জড়,সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ বরই। তাহলে জেনে গেলেন তো বরইয়ের নানান পুষ্টিগুন গুলো তাহলে আপনার পছন্দের ফলের তালিকায় অবশ্যই বরই কেও রাখতে পারেন।