নারকেল আমাদের সকলের পরিচিত একটি ফল । আর এই নারকেলের নির্যাস থেকেই তৈরি হয় নারকেলের দুধ। যা খেতেও অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিতে ভরপুর। অনেকেই হয়তো নারকেলের দুধের কথা শুনে অবাক হচ্ছেন। কিন্তু এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। অনেক আগে থেকেই নারকেলের দুধ আমাদের বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন অনেক দোকান এবং সুপারসপে নারকেলের দুধ কিনতে পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই এই নারকেলের দুধের পুষ্টিগুণ এবং উপকারীতা সম্পর্কে।
পুষ্টিগুণঃ
নারকেলের দুধ অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ । এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ডায়াটারি ফাইবার, আয়রন, মিনারেল, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, উপকারী ফ্যাট সহ বিভিন্ন উপকারী উপাদান। যা নানাভাবে আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে।
উপকারীতাঃ
১। নারকেলের দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ রকমের উপকারী। এক কাপ গ্লাসে প্রায় ৮৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।ম্যাগসিয়াম আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে । একই সাথে ম্যাগনেসিয়াম আমাদের নার্ভ সিস্টেমকে ভালো রাখে। আর প্রোটিন আমাদের দেহকে সচল রাখে এবং দেহ গঠনে সাহায্য করে।
২। নারকেলের দুধে ফ্যাট থাকলেও এটি অনেক উপকারী ফ্যাট । যা আমাদের শরীরের অতিরক্ত ওজন বাড়ায় না, বরং আমাদের ওজন কমাতে এটি অনেক কার্যকর। এতে থাকা ডায়াটারি ফাইবার দীর্ঘক্ষণ আমাদের পেট ভর্তি রাখে। ফলে বার বার খাবার ইচ্ছে কমে যায়। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাই থাকে না।
৩। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের হাড়ের ঘণত্ব কমতে থাকে। আর এর ফলে একসময় আমাদের হাড়ের জোর কমে আসে। এই সমস্যা সমাধানে নারকেলের দুধ অনেক কার্যকর। এতে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের ঘণত্ব বাড়ায় এবং হাড়ের জয়েন্ট পেইন কমায়।
৪। নারকেলের দুধে থাকে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এটি আমাদের শরীরকে ক্ষতিকর ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচায়। একইসাথে এতে থাকা মিনারেল আমাদের শরীরকে রাখে ঝরঝরে এবং অবসাদ মুক্ত।
৫। আমাদের ত্বকের জন্য নারকেলের দুধ ভীষণ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন আমাদের ত্বককে করে তোলে পরিষ্কার এবং সতেজ। এটি আমাদের ত্বকের এজিং প্রসেসকে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৬। নারকেলের দুধ আমাদের রক্তে মিশে থাকা অতিরিক্ত কোলেস্টরল কমিয়ে আমাদের হার্টকে সুস্থ্য রাখে। এর ফলে বিভিন্ন হার্ট ডিজিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। একই সাথে এতে থাকা স্যাচুরেটেড এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের রক্তে উপকারী কোলেস্টরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।