ভুঁড়ি যখন হয় তখন দেখতে বেশ কটু লাগে। ভুঁড়ির জন্য অনেক সময় দেখা যায় পছন্দের পোশাক ও আপনি পড়তে পারেন না। আবার অনেক সময় দেখা যায় আপনার ভুঁড়ি বাড়ার সাথে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ এবং শরীরের অন্যান্য জটিলতাও। তাই আজকের লেখাতে আমরা এমন কিছু সবজির কথা জানবো যা আপনার ভুঁড়ি কমাতে সহায়ক হবে। দেরি কেনো আসুন তাহলে জেনে নেই ভুঁড়ি কমানোর সহায়ক সবজি গুলোর নাম।
(১) মাশরুমঃ আমিষ হন বা নিরামিশাষী, মাশরুম সকলেরই পছন্দ। মাশরুম রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মাশরুম প্রোটিনে ঠাসা, যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমা আটকায়।
(২) কুমড়োঃ বেশি পরিমাণ ফাইবার আর কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার হল কুমড়ো। ভুঁড়ি কমাতে রোজের খাবারের লিস্টে কুমড়ো রাখলে উপকারই পাবেন। রান্না করেও খেতে পারেন, খেতে পারেন স্যালাড হিসেবেও।
(৩) শতমূলীঃ সবজি হিসেবে খুব একটা চেনা নাম নয় শতমূলী। কিন্তু চর্বি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। শতমূলীতে রয়েছে কেমিক্যাল অ্যাস্পারাজিন, যা সরাসরি কোষের উপর কাজ করে আর চর্বি জমতে দেয় না। শতমূলী সামান্য রোস্ট করে অথবা হালকা ভাজা অবস্থায় খেতে পারেন রোজ।
(৪) গাজরঃ কুমড়োর মতোই গাজরও লো ক্যালোরি খাবার। ফাইবারে ঠাসা গাজরের জুস খেতে পারেন রোজই। স্যালাডের সঙ্গেও গাজর খান অবশ্যই।
(৫) শশাঃ ডিটক্সিফিকেশনের গুণ রয়েছে শশায়। শশায় ফাইবার আর জলের আধিক্য থাকায় বারে বারে খিদে পাওার প্রবণতা কমায় এই ফলটি। দুপুরে খাবারে রোজ শশা রেখে দেখতেই পারেন।
(৬) ফুলকপি আর ব্রকোলিঃ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর বিভিন্ন মিনারেল ও ভিটামিনের পাশাপাশি ব্রকোলিতে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল যা চর্বি জমতে দেয় না শরীরে। একই উপকার রয়েছে ফুলকপিতেও।
(৭) শাক এবং অন্যান্য সবুজ পাতা জাতীয় সব্জিঃ বিভিন্ন শাক, লেটুস পাতায় রয়েছে ভুঁড়ি কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যেসব সব্জিতে চর্বি কমে তাঁদের মধ্যে শাকের উপকারিতা সবথেকে বেশি। রোজের ব্রেকফাস্ট বা দুপুরের খাওয়ায় শাক অবশ্যই খান।
এছাড়া ও ফ্যাট কমাতে সত্যিই লঙ্কার জুড়ি নেই। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, লঙ্কা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য তো করেই, এছাড়াও শরীরে জমতে থাকা চর্বিও অক্সিডাইজ করে। সেই সাথে আপনাকে অবশ্যই ভালো স্বাস্থ্য আর ভুঁড়ি কমাতে চাইলে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। শুধুই ব্যায়াম করে গেলেন অথচ খাবারের তালিকা রইল একই তাতে কিন্তু ফল মিলবে না। পর্যাপ্ত ঘুম, আর প্রচুর জল খান। স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন একই সাথে।