বরবটি (Yard long bean) এটি একটি বর্ষজীবী লতানো জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Vigna sesquipedalis। এটি Leguminosae পরিবারের অন্তভূক্ত। বরবটি আমিষ সমৃদ্ধ একটি সবজি। প্রায় সারা বছরই এটি ফলানো যায়। তবে খরিপ তথা গ্রীষ্মকালে ভাল হয়। খুব শীতে ভাল হয় না। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী। এর কোন আকর্ষ না থাকলেও মাচা অথবা গাছকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠে। এর ফুলগুলি হলদে অথবা লালচে রঙের হয়। বরবটি তরকারি হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়। বরবটি বাংলাদেশ সহ সব দেশেই চাষ করা হয়ে থাকে।
রাসায়নিক উপাদান:
বরবটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল , অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টেক্যান্সার প্রোপার্টিস। এতে আরও রয়েছে ভিটামিন বি১ , বি ২, ক্লোরোফিল , রিবোফ্লাভিন , ফসফরাস, থায়ামিন , ফাইবার ও বিভিন্ন মিনারেল। যা আমদের শরীরে অনেক উপকারী।
পুষ্টিগুণ:
বরবটিতে প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে। কারন ১০০ গ্রাম বরবটিতে রয়েছে জলীয় অংশ ৮৭.৫ গ্রাম, আমিষ ৩.০, শর্করা ৯.০, মোট খনিজ পদার্থ ০.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ৫.৯, ভিটামিন বি-১ ০.১৪, ভিটামিন বি- ২ ০.৩০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি খুব অল্প, খাদ্যশক্তি ১৮ ক্যালরি। বরবটির জাত ও স্থানের পরিবর্তনের সঙ্গে পুষ্টিমানের পরিবর্তন হতে পারে।
উপকারিতা:
১। বরবটিতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা শরীরের কলেস্টেরলের পরিমান কমিয়ে দেয়। ফলে হার্টের ভালো থাকে।
২। নিয়মিত বরবটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ, বুক জ্বালাপোড়া প্রভৃতি সমস্যা দূর হয়।
৩। বরবটি খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থাকে।
৪। বরবটিতে রয়েছে সিলিকন যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এছাড়া হাড় শক্ত করতে প্রয়োজনীয় ক্যালিসিয়ামও পাওয়া যায় বরবটির বীজে।
৫। বরবটি নিয়মিত খেলে শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়।
৬। বরবটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীর চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৭। সর্দি হলে বরবটির বীজ ভেজে বার্লির মতো রান্না করে সেই পানি খেলে সর্দি ভালো হয়।
৮। বরবটির বীজ ভেজে সকাল বিকেল খেলে আমাশয় রোগ ভালো হয়।