মূলা | 20fours
logo
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০৭:১৫
মূলা
মূলা
Desk

মূলা

মূলা (Radish) একটি কন্দ জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Raphanus sativus। মূলা একটি বার্ষিক এবং দ্বিবার্ষিক ব্রাসিকাসিয়াস ফসল এবং জন্মায় তাদের গোড়ার ফোলা মুখ থেকে। মূলা সাধারণত গোলাকার, আস্তে আস্তে সরু হয়েছে এমন অথবা বেলুনআকার। এর গোড়ার ত্বকের রং সাদা থেকে গোলাপী, লাল, রক্তবর্ণ, হলুদ এবং সবুজ থেকে কাল, কিন্তু ভিতরের অংশ সাধারণত সাদা হয়ে থাকে। ছোট আকারের মূলার কিছু সংখ্যক পাতা থাকে যা ১৩ সে.মি.(৫ ইঞ্চি) লম্বা হয়ে গোলাকার মূলার সাথে থাকে। গোলাকার মূলা সর্বোচ্চ ২.৫ সে.মি.(১ ইনচি) ব্যাসের এবং আরও বেশী সরু, লম্বা মূলা সর্বোচ্চ ৭ সে.মি.(৩ ইনচি) লম্বা হয়। উভয় প্রকার মূলাই সাধারণত কাঁচা সালাদ হিসাবে খাওয়া হয়। একটি লম্বা শীতকালীন মূলা ৬০ সে.মি. (২৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত বড় হয়, যার সাথে পাতাগুলো ৬০ সে.মি. (২৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে যা ৪৫ সে.মি. (১৮ ইঞ্চি) চওড়া। সময় অনুযায়ী সংগ্রহ করা মূলার ভিতরের অংশ কচকচে এবং মিষ্টি হয়, কিন্তু তিতা এবং শক্ত হয় যদি অনেকদিন ধরে ফসল মাঠে ফেলে রাখা হয়। এর পাতাগুলো গোলাকার আকৃতির ব্যজের মত হয়। তারা লিরেট আকৃতির হয়ে যায়, যার মানে তারা পিনাটলি (শিসের দুই দিকে পাতা যাওয়া) ভাগ হয়ে যায় একটি বিস্ফোরিত প্রান্তিক খন্ডের সাথে এবং ছোট পার্শ্বিক খন্ডে। সাদা ফুল জন্ম দেয় পুষ্প বিণ্যাসের। ফলগুলো ছোট গুটি হয় যা খাওয়া যায় যখন এটি বয়সে তরুন হয়। এছাড়াও মূলা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। মূলা বাংলাদেশ সহ সর্বত্র চাষ করা হয়ে থাকে। মূলার পাতা, ফল, মূল ও বীজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


পুষ্টিগুণঃ

মূলায় প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। কারন প্রতি ১০০ গ্রাম মূলায় থাকে ১৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১.৬ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ২৫ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ১৪.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ২৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.২৮ মিলিগ্রাম জিংক এবং ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।


উপকারিতাঃ

১। মূলা সিদ্ধ করে সেই ক্বাথ সেবন করলে আমাশয়ে উপকার পাওয়া যায়।

২। ঠান্ডা লেগে গিয়ে অথবা কানে পানি ঢুকে কান টনটন করে তাহলে মূলার রস অল্প গরম করে কালে দিলে কানের কটকটানি কমে যায়।

৩। মূলার রসের সাথে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে  খেলে যাদের পেটে ব্যাথা ও গ্যাস ভালো হয়।

৪। মূলার বীজ আদার রস এবং ভিনেগারে ভিজিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে শ্বেত রোগ ভালো হয়।

৫।  কাঁচা মূলা পাতলা টুকরা ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ নিরাময় হয়। এছাড়াও কাঁচা মূলা ফেস প্যাক এবং ক্লিনজার হিসেবেও দারুন উপকারী।

৬।  নিয়মিত মূলা রান্না করে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।

৭। যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তারা নিয়মিত মূলা খেলে বুকের দুধ বাড়বে।

৮। নিয়মিত মূলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, ফলে পাইলস ও ভালো হয়।

৯। মূলা খেলে কিডনি সমস্যা ভালো হয়।

১০। মূলা নিয়মিত খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়।