খেজুর | 20fours
logo
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০৮
খেজুর
খেজুর
Desk

খেজুর

খেজুর (Date Palm) এক ধরনের তালজাতীয়  শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Phoenix dactylifera। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানত মরু এলাকায় ভাল জন্মে। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়। মাঝারি আকারের গাছ হিসেবে খেজুর গাছের উচ্চতা গড়পড়তা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর লম্বা পাতা রয়েছে যা পাখির পালকের আকৃতিবিশিষ্ট। দৈর্ঘ্যে পাতাগুলো ৩ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতায় দৃশ্যমান পত্রদণ্ড রয়েছে। এক বা একাধিক বৃক্ষ কাণ্ড রয়েছে যা একটিমাত্র শাখা থেকে এসেছে। যা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর প্রিয় খাবার। ফলটি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে, যার দৈর্ঘ্য ৩-৭ সে.মি. এবং ব্যাসার্ধে ২-৩ সে.মি. হয়ে থাকে। প্রজাতির উপর নির্ভর করে কাঁচা ফল উজ্জ্বল লাল কিংবা উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। একবীজপত্রী উদ্ভিদ হিসেবে এর বীজ ২-২.৫ সে.মি লম্বা এবং ৬-৮ মি.মি পুরুত্বের হয়। গাছে ফল উৎপাদনের জন্য সচরাচর ৪ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে ফসল উৎপাদন উপযোগী খেজুর গাছে ফল আসতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লেগে যায়। খেজুর গাছ শুধু খাওয়াই হয় না, ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। খেজুর বাংলাদেশ সহ এখন সর্বত্র চাষ করা হয়ে থাকে।

পুষ্টিগুণ:

খেজুরে প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে। কারন প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে শর্করা ৭৫.০৩ গ্রাম, চিনি৬৩.৩৫ গ্রাম, খাদ্যে ফাইবার ৮গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ০.৩৯গ্রাম, প্রোটিন ২.৪৫ গ্রাম। এছাড়াও আরো রয়েছে ভিটামিন এ, বি,সি ও ই।


উপকারিতা:

১। নিয়মিত খেজুর খেলে রুচি বাড়ে।

২। খেজুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

৩। তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল হয়। তাই খেজুর খেলে সহজেই হজম বৃদ্ধি হয়।

৪। সারারাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খেলে হার্টের সমস্যা ভালো হয়।

৫। খেজুর খেলে শরীরের দুর্বলতা কেটে যায়।

৬। নিয়মিত খেজুর খেলে। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।

৭। খেজুরের চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।

৮। রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।

৯। খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

১০। খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে করে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

১১। খেজুরে আছে ডায়েটরি ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।
১২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

১৩। খেজুরের চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।

১৪। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে।