মরিচ | 20fours
logo
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:৩২
মরিচ
মরিচ
Desk

মরিচ

মরিচ (Chilli) এর বৈজ্ঞানিক নাম Capsicun annuum। ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে। মরিচের ফলকে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে মরিচের চাষ করা হয়। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মরিচ চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অসংখ্য জাতের মরিচ চাষ হয়। যেমন: ধানি মরিচ, লাল মরিচ, কামরাঙ্গা মরিচ, সিমলা মরিচ, উল্টা মরিচ, বেলুন মরিচ, লঙ্কা মরিচ ও বোম্বাই মরিচ ইত্যাদি।

ব্যবহারিক দিক থেকে মরিচকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ঝাল মরিচ ও ঝালবিহীন মরিচ। ৩ ও ১ মিটার আকারের বীজতলা করে সেখানে বীজ বপন করা হয়।শীতকালের জন্য ভাদ্র-আশ্বিণ মাসে ও বর্ষা মৌসুমের জন্য ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বীজতলায় বীজ বপন করা হয়। আগাছা পরিষ্কার করে ৪-৫ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্ত’তির পর চারা রোপণ করা হয়। চারা রোপণে সারি থেকে সারির দূরত্ব ১.৫-২ হাত ও চারা থেকে চারার দূরত্ব ১ হাত বা তার কিছু বেশি রাখা হয়। চারা বিকেলে লাগাতে হবে এবং ২-৩ দিন সকাল বিকাল পানি দিতে হবে। চারা ৪-৫ ইঞ্চি উঁচু হলে রোপণের উপযোগী হয়। মরিচ চাষের জন্য উর্বর দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত। বাংলাদেশ সহ সর্বত্র মরিচ চাষ করা হয়ে থাকে।


পুষ্টিগুণ:

মরিচ খাওয়া খুবই উপকারী। শুধু একটি মাত্র কাঁচা মরিচে থাকে ১০৯ দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম (১৮২%) ভিটামিন সি। একই ভাবে লাল মরিচে প্রতিটিতে থাকে ৬৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি (১০৮%)। প্রতি ১০০ গ্রাম সার্ভিং পরিমাণের মধ্যে থাকে ৪০ খাদ্যশক্তি। চর্বি, কোলেস্টেরল সোডিয়ামের পরিমাণ থাকে শূন্য শতাংশ। শর্করা ৩%, খাদ্য আঁশ ৬%, ভিটামিন এ ২৪%, ভিটামিন সি ৪০৪%, ক্যালসিয়াম ২%, আয়রণ ৭%, ভিটামিন ই ৩%, ভিটামিন কে ১৮%, থায়ামিন ৬%, রায়বোফ্লভিন ৫%, নিয়াসিন ৫%, প্যান্টোথেনিক এসিড ৫%, ভিটামিন বি-৬ ১৪%, ফলিক এসিড ৬%, পটাশিয়াম ১০% এবং মাঙ্গানিজ ১২% ইত্যাদি।


উপকারিতা:

১। প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।

২। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে রক্ষা করে।

৩। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা ভালো হয়।

৪। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।

৫। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৬। কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।

৭। কাঁচা মরিচে অবস্থিত ক্যাপসাইসিন খাদ্যে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বি চুষে নিয়ে শরীরে মেদ রোধ করতে সাহায্য করে।

৮। ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাঁচা মরিচে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুবই উপকারী।

৯। প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।

১০। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য খুবই উপকারী।