কাঁঠাল (Jackfruit) একটি মৌসুমি ফল।এর বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus। এটি মোরাসিয়া পরিবারের আর্টোকার্পাস গোত্রের ফল। এক প্রকারের সবুজ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ দেখা যায়। কাঁঠাল সুস্বাদু, মিষ্টি, বিরাট আকৃতির গ্রীষ্মকালীন ফল। কাঁঠাল পাকা ও কাচা খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠালকে বলা হয় এঁচোড়। কাঁঠাল গাছ মাঝারি আকারের হয় এবং প্রায় ৮-১০ মিটার লম্বা হয়। প্রধানমূলী ও পার্শ্ববিস্তৃত্ব শিকড় সাধারণত মাটির ২ মিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সাদা দুধের মত তরুক্ষীর এ গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পাতা গাঢ় সবুজ, উপবৃত্তাকার, সরল ও একান্তভাবে সাজানো। রোপণের ৭-৮ বছর পরেই ফল ধরা শুরু হয়। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে ফুল আসে। কাঁঠাল বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, মালয়, শ্রীলঙ্কায় জন্মে।
কাঁঠাল অনেক পুষ্টি তাই এটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিগুণ:
কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
উপকারিতা:
১। কাঁঠাল খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম থাকে।
২। কাঁঠালে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছ। তাই কাঁঠাল খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চরক্তচাপের উপশম হয়।
৩। কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। তাই কাঁঠাল রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
৪। কাঁঠাল নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন সি।
৫। কাঁঠাল খেলে আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
৬। কাঁঠাল আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৭। কাঁঠালের রস খেলে বদহজমে উপকার হয়।
৮। কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।
৯। কাঁঠাল আঁশালো হওয়ায় কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১০। শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।