আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ১০:২৪
টমেটো
টমেটো
Desk
টমেটো (Tomato) একটি শীতকালীন সবজি। এর Solanum lycopersicum। এটি solanaceae
পরিবারের অন্তভূক্ত। টমেটোর কাণ্ড কোমল ও রসাল।
টমেটো পুষ্টি গুণে ভরা এক ধরনের সালাদ সবজি। টমেটো আমাদের দেশের একটি প্রধান শীতকালীন সবজি, তবে বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালেও টমেটো চাষ করা হয়। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই টমেটো চাষ করা যায়। তবে বেলে দোঁ-আশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। কার্তিকের শেষ সপ্তাহ থেকে অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহ (নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ) চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি পর্যন্ত- ২০-২৫ দিনের চারা লাগানো যায়। জমি চাষ সম্পন্ন হলে ভূমি হতে ১০-১৫ সেমি উঁচু বেড তৈরি করে বেডের চারপাশে ড্রেনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। চারা লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৫০ সেমি এবং চারা হতে চারার দূরত্ব হবে ৫০ সেমি। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎসও বটে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটো একটি ফল হলেও, সবজি হিসেবেই সারা বিশ্বে টমেটো পরিচিত। সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ চাহিদা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের জন্য এটি একটি বিশেষ অর্থকরী সবজি। সবজি হিসাবে এর ব্যবহার ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও এর ব্যবহার সুবিদিত। দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে টমেটো রপ্তানিরও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। রান্নার উপকরণ হিসেবে এবং খাবারের সাথে টমেটো সসও বেশ প্রচলিত। টমেটো বাংলাদেশ ছাড়াও সর্বত্র জন্মে। টমেটো খাওয়ার পাশাপাশি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিগুণঃ
টমেটোয় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কারন প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে ০.৯ গ্রাম আমিষ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৮ মি. গ্রাম আঁশ, ০.২ মি. গ্রাম চর্বি, ২০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৪৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২০ মি. গ্রাম ফসফরাস, ০.৬৪ মি. গ্রাম লৌহ, ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৭ মি. গ্রাম ভিটামিন ‘সি’।
উপকারিতাঃ
১। টমেটো নিয়মিত খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয় ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
২। পায়খানা শক্ত হলে সকাল বিকেল টমেটো খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। নিয়মিত টমেটো খেলে পাকস্থলী ও অন্ত্র সুস্থ ও সবল থাকে।
৪। টমেটোর রস ব্রনে লাগালে দ্রুত ব্রন ভালো হয়ে যায়।
৫। টমেটোর রস মুখে লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
৬। মুখে অরুচি ও খিদে কম পায় তাহলে টমেটো টুকরো করে কেটে তাতে শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৭। শরীরে রক্তের পরিমাণ কম থাকলে নিয়মিত টমেটো খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৮। নিয়মিত পাকা টমেটো খেলে অর্শ ভালো হয়।
৯। জন্ডিসের সমস্যা দেখা হলে টমেটো খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১০। টমেটো খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনকে, যা দেহের হাড় মজবুত করে এবং ভাঙ্গা হাড়কে জোড়া লাগায় দ্রুত।
১২। টমেটো খেলে আমাদের দেহের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে এবং দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।
১৩। টমেটোতে উচ্চমাত্রার আঁশ এবং প্রোটিন থাকে, যা ফুসফুস ভালো থাকে।
১৪। দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিলে টমেটো খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১৫। টমেটো খেলে রাতকানা রোগ ভালো হয়।
১৬। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই নিয়মিত টমেটো খেলে চুল মজবুত থাকে এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়।