বৈঁচি (Governor’s plum, batoko plum, and Indian plum) বাংলাদেশে একধরনের বিলুপ্তপ্রায় এবং অপ্রচলিত ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Flacourtia indica। এটি Salicaceae পরিবারের অন্তভূক্ত। এই ফল কাঁটাবহরী, বুঁজ, ডুংখইর ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ক্ষেতের পাশে ঝোপঝাড়ে বা পাহাড়ের ঢালে অযত্নে বৈঁচিগাছ বেড়ে ওঠে। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক জায়গায় এ ফল জন্মে। বৈঁচি ফুল ক্ষুদ্র আকারের, হালকা পীত রঙের। সাধারণত শীতের শেষে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বৈঁচিগাছে ফুল ধরে। পাঁচ পাপড়িযুক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির ফুল। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে ফোটে। জ্যৈষ্ঠ মাস (এপ্রিল-জুন) থেকে ফল পাকতে শুরু করে। কাঁচা ফল গোলাকার সবুজ। পাকলে গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে। এর স্বাদ টক-মিষ্টি।বাংলাদেশের গ্রামের শিশুরা পাকা ফলের মালা বানিয়ে গলায় পরে থাকতে পছন্দ করে এবং মালা থেকে ফল ছিঁড়ে খায়। এই গাছ বাংলাদেশ সহ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কায় জন্মে। এই গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিগুণঃ
এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে ।
উপকারিতাঃ
১। দাঁতের গোড়া ফুলে গেলে বৈঁচি গাছের পাতার রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
২। এই গাছের ফল শুকিয়ে মালা গেঁথে গলায় পড়লে জন্ডিস ভালো হয়।
৩। ডায়রিয়া হলে বৈঁচি গাছের মূল সিদ্ধ করে সেই পানি সকাল বিকেল সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
৪। বৈঁচি গাছের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে বাত ব্যথা ভালো হয়।
৫। বৈঁচি গাছের পাতা থেঁতো করে হাতে পায়ে মালিশ করলে হাত -পায়ের জ্বালা কমে যায়।