ঢেঁড়স | 20fours
logo
আপডেট : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:৫৫
ঢেঁড়স
ঢেঁড়স
Desk

ঢেঁড়স

ঢেঁড়স (lady's fingers, gumbo) একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Abelmoschus esculentus। এবং অন্য নাম ভেন্ডি ও সংস্কৃত নাম ডিণ্ডিস, গন্ধমূলা। Malvaceae  গোত্রের অন্তভূক্ত। ঢেঁড়স গাছ লম্বায় প্রায় ২ মিটার হয়ে থাকে। এই গাছের কাণ্ডে লোম থাকে। এদের পাতার বোঁটা প্রায় ১৫-২০ সেন্টিমটার লম্বা হয়। এর পাতা বেশ বড় হয়। তবে পত্রফলক ৫ থেকে ৭টি খণ্ডে খণ্ডিত থাকে এবং দাঁতযুক্ত। পাতার গাত্র খসখসে হয়। জাত ভেদে এর ফুলের পাপড়ি সাদা বা পীত বর্ণের হয়ে থাকে। ফুলের ব্যাস ৪-৮ সেন্টিমিটার। কাঁচা অবস্থায় এর ফল সবুজ থাকে। ফলের গায়ে ছোটো ছোটো লোম থাকে। ফলের অগ্রভাগ সরু এবং সামান্য বাঁকা হয়। ফলগুলো প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চওড়া হয় প্রায় ৫ সেন্টিমিটার। ফলের গায়ে শিরা থাকে। ঢেঁড়স ফলে ৪-৫টি বীজ থাকে। বাংলাদেশে সারা বছরই ঢেঁড়সের চাষ করা যায়। তবে সাধারণত গ্রীষ্মকালে এর চাষ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্র ও আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। দোঁ আঁশ ও বেলে দোঁ আঁশ ঢেঁড়স চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা  থাকলে এটেল মাটিতেও চাষ করা যায়। এর বিভিন্ন জাত বাংলাদেশে চাষ করা হয়ে থাকে। এই জাতগুলো হলো— শাউনি, পারবনি কানি, বারী ঢেঁড়শ, পুশা সাওয়ানী, পেন্টা গ্রীন, কাবুলী ডোয়ার্ফ, জাপানী প্যাসিফিক গ্রীন। এর ভিতর কাবুলী ডোয়ার্ফ, জাপানী প্যাসিফিক গ্রীন সারা বছর চাষ করা হয়ে থাকে। ঢেঁড়স বাংলাদেশ সহ সর্বত্র জন্মায়। ঢেঁড়স ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

রাসায়নিক উপাদানঃ

ঢেঁড়স এ রয়েছে খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, গন্ধক, সোডিয়াম, লোহা, তামা। যার ফলে ঢেঁড়স খেলে আমাদের ও শরীর স্বাস্হ্য ভালো থাকে।

পুষ্টিগুণঃ

ঢেঁড়স রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। কারন ১০০ গ্রাম ঢেঁড়স এ থাকে শর্করা ৭.৬ গ্রাম, খাদ্যে ফাইবার ৩.২ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ০.১ গ্রাম, প্রোটিন ২.০ গ্রাম,  ভিটামিনসমূহফোলেট (বি৯) ২২%, ভিটামিন সি ২৫%,  ৭৫ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ রয়েছে।


উপকারিতাঃ

১। ঢেঁড়স নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনপ থাকে।

২। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ তৈরির জন্য ভালো ঢেঁড়স গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরিতে সাহায্য করে, মিসক্যারেজ হওয়া প্রতিরোধ করে।

৩।  ঢেঁড়স এ রয়েছে ভিটামিন সি যা শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৪। ঢেঁড়স কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাই নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়া খুবই উপকারী।

৫। ঢেঁড়স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৬। ঢেঁড়সে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ আঁশ যা হজমে সাহায্য করে।

৭। ঢেঁড়স মাথায় দিলে খুসকি দূর হয় এবং কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করা যায়।

৮। ঢেঁড়স নিয়মিত খেলে বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর হয়।

৯। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে দৃষ্টি ভালো থাকে।