পেঁপে | 20fours
logo
আপডেট : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৪৩
পেঁপে
পেঁপে
Desk

পেঁপে

পেঁপে ( Papaya) এটি একটি ছোট আকৃতির অশাখা বৃক্ষবিশেষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Carica Papaya। স্বস্হ্য সহায়ক গুনসমৃদ্ধ পেঁপের কোন তুলনা হয় না। কাঁচা, পাকা দু’ভাবেই পেঁপে খাওয়া যায়।  তবে কাঁচা অবস্থায় সবজি ও সালাদ এবং পাকলে ফল। কাঁচা ফল বাইরের দিক গাঢ় কালচে সবুজ এবং পাকলে খোসা সহ কমলা রং ধারন করে। প্রায় সারা বছরেই ফুল ও ফল হয়।পেঁপে গাছের পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে থাকে। পেঁপের পুরুষ ফুলের বোঁটা লম্বা এবং ঝুলে থাকে এবং স্ত্রী ফুল বোঁটাহীন হয়। পেঁপে বিভিন্ন স্হানে চাষ করা হয়। বর্তমানে ৫৪২০ একর জমিতে ১২৩৭০ মেট্রিকটন পেঁপের চাষ করা হয়।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইস্টিটিউট ১৯৯২ সালে উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল একটি পেঁপের জাত আবিষ্কার করেছে। এ জাতটির নাম “শাহী” যা “বারি পেঁপে-১” নামেও পরিচিত। বছরের যে কোন সময় পেঁপে রোপণ করা যায়। সেচের সুবিধা থাকলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর অথবা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে রোপণ করা যায় অথবা মৌসুমী বৃষ্টি শুরু হলে মে মাসে রোপণ করা ভাল। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে পেঁপের চারা লাগাতে হয়। ৩৫ থেকে ৪০ দিন বয়সের চারা লাগানো ভাল। আন্তঃপরিচর্যা পেঁপে বাগান আগাছামুক্ত রাখতে হবে। শুকনো মৌসুমে ১৫ থেকে ২০ দিন পরপর সেচ দিতে হয়। মাটি মাঝে মাঝে হালকা কুপিয়ে দেয়া ভাল। রোপণের ৪ থেকে ৫ মাস পর থেকেই ফুল আসা শুরু করে। ফুল দেখে কোনটি স্ত্রী গাছ কোনটি পুরুষ গাছ চেনা যায়। গোল ফুল মেয়ে গাছ ও লম্বা ঝোপা ফুল হবে পুরুষ গাছ। এ সময় প্রতি গর্তে একটি করে স্ত্রী গাছ রেখে আর সব গাছ সে স্ত্রী হোক বা পুরুষ হোক তুলে ফেলতে হবে। তবে প্রতি ২০টি গাছের জন্য একটি করে পুরুষ গাছ রাখতে হয় যাতে পরাগায়ণে সুবিধা হয়। শতকরা ৫টি পুরুষ গাছ জমিতে রাখতে হয়। একরে ৭৫টি পুরুষ গাছ রাখা প্রয়োজন। পেঁপে বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা,  ব্রাজিল ইত্যাদি দেশে হয়ে থাকে। পেঁপেতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি থাকে। তাই পেঁপে বিভিন্ন ঔষধ হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


পুষ্টিগুণ :

পেঁপেতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম পেঁপে তে রয়েছে আমিষ ০.৬ গ্রাম, স্নেহ ০.১ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৫ গ্রাম, ফাইবার০.৮ গ্রাম, শর্করা ৭.২ গ্রাম, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি।


উপকারিতা :

১। নিয়মিত পেঁপে খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।

২। পেঁপেতে ভিটামিন এ, সি থাকে।  তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে দৃষ্টিশক্তি উপকার পাওয়া যায়।

৩।পাঁকা পেপে খেলে মুখের রুচি বাড়ে। সেই সাথে  খিদে বৃদ্ধি পায়।

৪। কাঁচা পেঁপের আঠা চিনি বা বাতাসার সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শ ও জন্ডিস সহ লিবারের নানা রোগ ভালো হয়। এ আঠা প্রতিদিন সকালে ৫- ৭ ফোটা আঠা বাতাসার সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

৫। পেঁপের আঠা ব্রন ও আঁচিলের ওপর লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

৬। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন রয়েছে।  তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

৭। পেঁপে নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৮। পাকা পেঁপে বেটে মুখে লাগালে মুখের কালো দাগ ভালো হয়।