চাকুন্দা একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Senna tora। এটি Fabaceae গোত্রের অন্তর্গত Senna গণের পরিবারভুক্ত। আমাদের দেশে অযত্নে অবহেলায় বেড়ে ওঠে চাকুন্দা। এর পাতার আকৃতি প্রায় গোল এবং ব্যাস প্রায় এক ইঞ্চি মতো হয়ে থাকে। পাতাগুলো কোমল লোমযুক্ত। কাণ্ডের দুই দিকে পাতাগুলো থাকে। পাতার অগ্রভাগ প্রায় গোলাকার। বর্ষাকালে পুষ্পবৃন্তে ছোট ও জোড়া জোড়া ফুল ফোটে। ফুলের রঙ পীত। শীতকালে শুঁটি আকারে ফল ধরে। .৫ ইঞ্চি লম্বা শুঁটিতে অনেক চ্যাপ্টা বীজ দেখা যায়। এটি একটি ঔষধি গাছ। এই গাছের পাতা সন্ধ্যা নামলেই এর নিদ্রা আসে অর্থাৎ দিনের শেষে পাতা গুলি পরস্পর জুড়ে যায়। ভারতের প্রদেশ ভেদে এর নামেরও ভিন্ন হয়। বাংলাদেশে একে চাকুন্দা বলে। হিন্দিভাষী অঞ্চলে একে বলে চক বড়, উড়িষ্যার অঞ্চলে চামুন্ডা বলে। চাকুন্দা সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার উদ্ভিদ। বাংলাদেশ, ভারত,নেপালসহ অন্য দেশসমূহে এই গাছ পাওয়া যায়। এর মূল,বীজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চাকুন্দা সুস্বাদু। এতে কুষ্ঠ, শিশু দাদ ও কৃমি নিরাময় হয়।
উপকারিতা :
১। চাকুন্দা পাতা ও মূল ভালো করে সেদ্ধ করে সেই প্রতিদিন সেবন করলে ও এর শিকড় বেটে ঘিয়ের সাথে কুষ্ঠ ক্ষতে লাগালে কুষ্ঠ রোগ ভালো হয়।
২। তাড়কা শিশুর রোগ। এই রোগ হলে চাকুন্দা ফলের বীজ গুড়ো করে দুধের সাথে শিশুকে খাওয়ালে তাড়কা রোগ ভালো হয়।
৩। ফোঁড়া হলে চাকুন্দা পাতা বেটে ফোঁড়ার ওপর বেটে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া ভালো হয়।
৪। চাকুন্দা গাছের শিকর বেটে তা ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে দাদের ওপর প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। কৃমি হলে চাকুন্দার বীজ চূর্ণ করে মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে কৃমি বেরিয়ে আসে।
৬। খুব কফ হলে চাকুন্দা পাতা সেদ্ধ করা পানি হালকা গরম অবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যায়।