শিরীষ | 20fours
logo
আপডেট : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:২১
শিরীষ
শিরীষ
Desk

শিরীষ

শিরীষ( Lebbeck, Lebbek Tree, Flea Tree) এটি একটি ছায়াতরু গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Albizia  lebbeck এবং সংস্কৃত নাম শিরীষ।এই গাছ সর্বোচ্চ ১৮-৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর গুঁড়ির ব্যাস প্রায় ১ মিটার পর্যন্ত হয়। গাছের গুঁড়ি কিছুটা সরলভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পর এর ডালপাল ছড়িয়ে পড়ে। গাছের বাকল ফাটা ফাটা দেখায়। এর পাতা বেশ মসৃণ হয়। তবে পাতগুলো লোমশ এবং অবনত হয়ে থাকে। একটি বড় পত্রদণ্ড থেকে পাতা উৎপন্ন হয়। প্রতিটি পত্রদণ্ডে ৪-৮টি পত্রিকা বের হয়। পত্রিকার বোঁটা ছোটো হয়ে থাকে। ডালে ৩-৪টি ফুল হয়। ফুলগুলো লম্বায় প্রায় দেড় ইঞ্চি হয়। পুষ্পস্তবক পীত। তবে ফুলের মাথার দিকটা সাদাটে হয়। ফুলের উপরের অংশ বেশ বড়। ফুলে সুগন্ধ থাকে। ফুলের বোঁটা বেশ ছোটো হয়। বর্ষাকালে এর ফুল হয়। এর ফল হয় শুঁটি আকারে। শুঁটিগুলোর বাইরের অংশের রঙ ধূসর। শুঁটগুলো চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। এগুলো লম্বায় প্রায় ১ ফুট আর চওড়ায় প্রায় আধ ইঞ্চি হয়। শুঁটির রঙ হয় হাল্কা পীতবর্ণ। প্রতিটি শুঁটিতে ৬-১০টি বীজ থাকেএই। শীতকালে ফল ধরে। গাছের ফল ৮-১০ সেমি লম্বা এবং ৪-৬ সেমি চওড়া সাদা চ্যপ্টা শুকনো ফল গাছে ঝুলতে থাকে, ফলের মাঝখানে বোতামের মতো গোল গোল বীজের দাগ থাকে। এই গাছ বাংলাদেশ সহ ইন্দোনেশিয়া, নিউ গিনি, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ভারতে জন্মে। এই গাছের ছাল, মূল,পাতা, ফুল, বীজ ও কাঠের সারাংশ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতা:

১। শিরীষ বীজ চূর্ণ ও মিছরি চূর্ণ করে গরম দুধসহ সেবন করলে শুক্রতারল্য দূর হয়।

২। শিরীষ গাছের মূলের ছাল চূর্ণ করে নিয়মিত সেবন করলে হাঁপানি ভালো হয়।

৩। শিরীষ ফুল চূর্ণ করে গরম দুধ বা পানি সহ সেবন করলে শুক্রস্তমভন দূর হয়।

৪। শিরীষ গাছের মূল বেটে দংশনস্হানে দিলে বিষক্রিয়া নষ্ট হবে।

৫। চোখ উঠলে শিরীষের বীজ ঘসে চোখে কাজলের মতে করে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

৬। যদি দাঁত নড়তে থাকে তাহলে তা বন্ধ করতে বা মাড়ি শক্ত করতে শিরীষ গাছের বীজ চূর্ণ করে দাঁত মাজলে উপকার পাওয়া যায়।

৭। শিরীষ কাঠের চূর্ণ করে নিয়ে পানির সাথে সেদ্ধ করে ক্বাথ বানিয়ে ব্যবহার করলে চর্মরোগ ভালো হয়।