অপরাজিতা | 20fours
logo
আপডেট : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৩৪
অপরাজিতা
অপরাজিতা
Desk

অপরাজিতা

অপরাজিতা (Butterfly pea, blue pea vine, mussel-shell climber) এটি একটি লতানো উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Clitoria ternatea। এটি Fabaceae প্রজাতির একটি ফুল। এবং Popilionaceae এর পরিবার ভূক্ত। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি, সাদা- কত রঙের ফুল আছে। এর মধ্যে নীল ফুল মানেই অপরাজিতা।গাঢ় নীল বলে একে ‘নীলকণ্ঠ’ নামেও ডাকা হয়। নীল ছাড়াও সাদা এবং হালকা বেগুনি রঙের ফুল হয়ে থাকে। ফুলের ভেতরের দিকটা সাদা বা ঈষৎ হলুদ রঙের হয়ে থাকে।এই ফুল এসেছে মালাক্কা দ্বীপ থেকে।গাছের ডাল বর্ষা কালে সেঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করতে হয়, ছোট ছোট ধূসর ও কালো বর্ণের বিচি রোদে শুকিয়ে নরম মাটিত রোপন করতে হয়।  হালকা সবুজ রঙের পাতার গড়ন উপবৃত্তাকার। ঝোপজাতীয় গাছে প্রায় সারা বছর ফুল ফোটে। এই গাছ ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। লতা জাতীয় গাছে এক পাপড়ি ও দুই স্তর পাপড়িতে এই ফুল হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন স্হানে এই গাছ জন্মে। এই গাছে ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের পাতা সবই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতা :

১। মুর্ছা রোগ হলে অপরাজিতা গাছের মূল ও পাতা থেঁতে ছেঁকে রস খাইয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

২। গলগন্ড রোগ হলে এই গাছের মূল বেটে মধু মিশিয়ে খেলে ভাল হয়ে যায়।

৩। অপরাজিতা পাতা মূল সহ বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফুলা সেরে যায়।

৪। ঘন ঘন প্রস্রাব হলে সাদা বা নীল অপরাজিতা গাছের মূল সহ রস করে দুধের সাথল মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৫। অপরাজিতা পাতার রস গরম করে গারগেল করলে  স্বরভঙ্গ ভালো হয়ে যায়।

৬। আধকপালে ব্যথা হলে অপরাজিতার মূল ও গাছ থেঁতলে ওটার রসের নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।