কুঁচ (Crab's eye, rosary pea) এই গাছটি লতানো এবং বহু বিস্তৃত শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট। এর বৈজ্ঞানিক নাম Abrus precatorius, সংস্কৃত নাম গুঞ্জ। এটি Fabaceae গোত্রের অন্তভূক্ত। এর শাখা বেশ নরম। পাতার দৈর্ঘ্য ২-৩ ইঞ্চি। প্রতিটি পত্রদণ্ডে ২০-৪০টি পত্রিকা থাকে। বসন্তকালে পত্রিকাগুলো পড়ে যায়।
এর পুষ্পদণ্ডে প্রচুর ফুল ধরে। ফুলের বাইরের দিক পশমের মতো। ফুলগুলোতে লাল বা সাদা বর্ণের আভা দেখা যায়। এর ফল শুঁটির আকারে জন্মে। শুঁটিগুলো ১ থেকে ২ ইঞ্চি লম্বা হয়। এর বীজগুলো লাল, কালো, সাদা ইত্যাদি নানা রঙের হয়ে থাকে। কুঁচবীজের মূল রঙের বিচারে কুঁচকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো সাদা ও লাল। শীতের সময় এর ফুল হয় এবং গ্রীষ্মকালে ফল হয়। বাংলাদেশে এক সময় স্বর্ণের ওজনের ক্ষেত্রে কুঁচ ব্যবহৃত হতো। কুঁচ গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডে জন্মে। এই গাছ ঔষধ হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতা:
১। কুঁচ গাছের মূল বেটে রস বার করে গায়ে মাখলে চর্মরোগ ভালো হয়।
২। মাথাব্যথা হলে সাদা কুঁচফল চূর্ণ করে ছেঁকে নস্যি নিলে মাথার ভার কমে যায়।
৩। কুঁচের মূল বেটে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভালো হয়।
৪। পেটে শূল বেদনা হলে কুঁচের পাতা থেঁতলে রস আধা কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। কুঁচ বেটে মাথায় প্রলেপ দিলে টাক মাথায় উপকার পাওয়া যায়।
৬। বিষাক্ত পোকা দংশন করলে সেই স্হানে কুঁচ গাছের পাতা থেঁতলে প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।