কুলঞ্জন একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Alpinia malaccensis। এটি Zingiberaceaeপরিবারের অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদ। এর আরেকটি কাব্যিক নাম আছে -‘ হৈমবতী ‘। আমাদের দেশেও এই উদ্ভিদটি জন্মে। এই গাছ ৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের দিকে ফুল আসে। এই ফুল পাতার উপর মোচাকৃতি খাপ দিয়ে ঘেরা থাকে যা গুচ্ছাকারে সাদা কুঁড়ি হিসেবে বেরিয়ে আসে। এটা দেখতে অনেকটা ক্রিসমাস ট্রি এর মতো। নিচের কুঁড়িটি প্রথম উন্মুক্ত হয়, দেখতে অনেকটা মুখের মতো যা উজ্জ্বল লাল শিরাযুক্ত। এই উদ্ভিদের পাতা জলপাই রঙের এবং এই পাতা ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই উদ্ভিদের জন্য আর্দ্র মাটি ও আবহাওয়া খুবই প্রয়োজন। এই গাছের আদি বাসস্থান ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায়। তবে বাংলাদেশে ও এটি পাওয়া যায়। কিন্তু এটি এদেশে আজ বিলুপ্ত প্রায়। এটি মূলত ঔষধি ও অরনামেন্টাল উদ্ভিদ হিসেবে চাষ করা হয়। কুলঞ্জন গাছ ঔষধ হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতা:
১। কুলঞ্জন গাছের মূল সিদ্ধ করে সেই পানি সেবন করলে যক্ষ্মা রোগে উপকার পাওয়া যায়।
২। কুলঞ্জন গাছের পাতা সিদ্ধ করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। কুলঞ্জন গাছের মূল বেটে প্রলেপ দিলে বাত ব্যথা ভালো হয়।
৪। এজমা ও চর্ম রোগ হলে এই গাছের মূল চূর্ণ করে পানির সাথে মিশিয়ে সকাল বিকেল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। আমাশয় হলে এই গাছের মূল সিদ্ধ করে সকাল বিকেল সেবন করলে আমাশয় ভালো হয়।