শাক আমাদের সবসময়ই খুবই পছন্দের একটি খাবার। কমবেশি প্রতিদিনই আমাদের বাসায় শাক রান্না হয়ে থাকে। অনেক উপকারি পুষ্টিগুণে ভরপুর এসব বিভিন্ন শাক আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। বিশেষ করে পালংশাক। শীতকালীন এ শাককে বলা হয় সবচেয়ে উপকারি শাক। আসলে পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রকমের খনিজ উপাদান, ভিটামিন এবং মিনারেলস। যা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। বিশেষ করে আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পালংশাকের ভুমিকা অনেক। কি শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও একথা কিন্তু একদম সত্য। আসুন তবে জেনে নিই কিভাবে পালংশাক আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে থাকে।
যেভাবে পালংশাক অতিরিক্ত ওজন কমায়ঃ
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। একই সাথে এতে আরও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আরও নানারকম উপকারি সব ভিটামিন এবং মিনারেল। যা শরীরে প্রবেশ করার পর আমাদের ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। একই সাথে পালংশাকে থাকা ফাইবার, দীর্ঘক্ষণ আমাদের পেট ভরিয়ে রাখে। আর এর ফলে আমাদের ক্ষুধা কমে যেয়ে বারবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। আর একারণেই খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমে যেতে থাকে। আর এর ফলেই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেহে জমে থাকা মেদ ঝরে যেতে একদমই সময় লাগে না। এছাড়াও এতে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। আর এই অ্যামাইনো অ্যাসিড হল এমন একটি উপাদান, যা আমাদের মেটাবলিজম রেট বাড়ানোর মাধ্যমে আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পালংশাক আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে কতটা উপকার করে থাকে।
যেভাবে খাবেনঃ
পালংশাক একটি শীতকালীন শাক এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। আমরা সাধারণত একে শাক হিসেবেই রান্না করে খেয়ে থাকি। তবে রান্নায় অতিরিক্ত তাপ এবং সিদ্ধ হওয়ার ফলে এর পুষ্টিগুণ অনেক কমে যায়। তাই যতটা সম্ভব একে কম তাপে এবং কম সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে যদি পালংশাক বেল্ডারে জুস করে খাওয়া যায়। প্রতিদিন মাত্র আধাগ্লাস পালং শাকের জুস খেলে মাত্র তিন মাসে ওজন অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব।