হিজল গাছ | 20fours
logo
আপডেট : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৫৩
হিজল গাছ
হিজল গাছ
Desk

হিজল গাছ

হিজল মাঝারি আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Barringtonia acutangula। সংস্কৃত নাম নিচুল। এ ছাড়া জলন্ত, নদীক্রান্ত এসব নামেও হিজলগাছ পরিচিত। ডালপালার বিস্তার চারদিকে। সাধারণত জলজ কাদা, পানিতে এই গাছ জন্মে।  বীজ থেকে গাছ হয়। উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ মিটার। প্রথমে গাছের শাখা-প্রশাখায় সবুজ রঙের অসংখ্য ঝুলন্ত মঞ্জুরি দেখা যায় ও তারই সঙ্গে গুটি-গুটি ফুলকলি দেখা দেয়। নির্দিষ্ট সময় পর ফুলকলি ও মঞ্জুরির রং পরিবর্তন হয়ে গোলাপি লাল রং ধারল করে। ফুটন্ত ফুলে মৃদু সুগন্ধ রয়েছে। গাছের সবুজ পাতা ও শাখা-প্রশাখার নিচে লম্বা মঞ্জুরিতে গোলাপি লাল রঙের রেশমি কোমল ফুল দেখতে খুবই মনোরম। সাধারণত গ্রীষ্মের শেষদিক থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে বর্ষার শুরুতে গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। ফলে কামরাঙার মতো খাঁজ থাকে। বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়।হিজল ফুল ফোটে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। হিজল ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। হালকা গোলাপি রঙের ১০-১২ সেমি লম্বা পুষ্পদণ্ডের মাঝে অসংখ্য ফুল ঝুলন্ত অবস্থায় ফোটে। গভীর রাতে ফুল ফোটে, সকালে ঝরে যায়। ফুলে একধরনের মিষ্টি মাদকতাময় গন্ধ আছে। হিজল গাছের প্রাণশক্তি প্রবল। বন্যার পানি কিংবা তীব্র খরাতেও টিকে থাকে। এমনকি পানির নিচে কয়েক মাস নিমজ্জিত থাকলেও হিজলগাছ বেঁচে থাকে। তাই হাওর অঞ্চলে এ গাছের ডাল মাছের অভয়রাণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। হিজলের বিষাক্ত অংশ হলো ফল, যা মারাত্মক বমনকারক। হিজলের বিষাক্ত অংশ হলো ফল, যা মারাত্মক বমনকারক। হিজল গাছ বাংলাদেশ সহ  দক্ষিণ এশিয়া,  মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় জন্মে। হিজলগাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতাঃ

১। মাথা ব্যথা ও কপাল যন্ত্রনা হলে হিজল বীজ শুকিয়ে গুড়ো করে দুই চামচ পরিমাণ এক কাপ দুধসহ সকালে এবং বিকেলে খেলে মাথা যন্ত্রনা কমে যায়।

২। যদি পেটে গ্যাস হয়, ঢেকুর উঠে, পেট ফেপে যায় তাহলে হিজল বীজ চূর্ণ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩। হিজল বীজ চূর্ণ করে গরম মসলা সহ খেলে কিছুক্ষনের মধ্যে বমি বমি ভাব কেটে যাবে।

৪।  চোখ উঠলে চোখ লাল হয়, চুলকায়,পানি পড়ে। তাহলে হিজল বীজ নিয়ে পাথরে ঘসে চন্দনের মত চোখের চারি পাশে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

৫। হিজল বীজ চূর্ণ করে গরম পানি দিয়ে সেবন করলে  ডায়রিয়া ভালো হয়।