লেবু তো আমরা সবাই খাই, কিন্তু লেবুর খোসা? আসলে আমরা অনেকেই জানি না যে, লেবুর মত লেবুর খোসাও খাওয়া যায়। আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, লেবুর চেয়ে কিন্তু লেবুর খোসাতেই সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ আছে। কি শুনে অবাক হচ্ছেন? আসলে লেবুর চেয়ে লেবুর খোসায় ৫-১০ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে। এছাড়াও লেবুর খোসায় আছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত অনেক উপকারি সব উপাদান। যা নানাভাবে আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। বিশেষ করে কনস্টিপেশনের মত সমস্যা কমাতে লেবুর খোসা অনেক কার্যকরি একটি প্রাকৃতিক একটি ওষুধ। আসুন তবে আজ জেনে নিই কিভাবে লেবুর খোসা আমাদের কনস্টিপেশনের মত সমস্যা কমিয়ে থাকে।
যেভাবে লেবুর খোসা কনস্টিপেশন কমায়ঃ
কনস্টিপেশনকে বলা হয়ে থাকে সবচেয়ে অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন, যাদের এই সমস্যার কারণে প্রতিদিনের সকালটা অনেক কষ্টের হয়ে থাকে। আসলে আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই তা হজম হয়ে যাওয়ার পর শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া অনেক জরুরী। খুব স্বাভাবিক এবং সহজেই এগুলো মল হিসেবে আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যদি কোনো কারণে এই মল সহজের শরীর থেকে নির্গত না হয় এবং মল ত্যাগের সময় যদি অনেক কষ্ট হয় তাহলে তাকে কনস্টিপেশন বলা হয়ে থাকে। আর এই কনস্টিপেশনের মত সমস্যা কমাতে আমরা কতকিছুই না করে থাকি। অথচ লেবুর খোসা খুব সহজেই এই কনস্টিপেশনের সমস্যা একদম কমিয়ে দেয়। আসলে লেবুর খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার। যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে আমাদের কনস্টিপেশনের কমিয়ে দেয়। আর একই সাথে এই ফাইবার আমাদের গ্রহনকৃত খাদ্যকে ভালোভাবে হজম করে। আর খাবার ভালো করে হজম হলে তা খুব সহজেই বের হয়ে যায়। এছাড়াও আলসার এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমাতে লেবুর খোসা অনেক উপকারি।
যেভাবে খাবেনঃ
লেবু আমরা সবাই খেয়ে থাকলেও লেবুর খোসা ফেলে দিই। কিন্তু লেবুর খোসাও লেবুর মত উকারি। এজন্য আমাদের নিয়মিত লেবুর খোসাও খাওয়া উচিত। লেবুর খোসা ভাতের সাথে আপনি খেতে পারেন। এছাড়াও সালাদের উপকরণ হিসেবে খেতে পারেন। আবার ছোট ছোট করে কেটে লবণ দিয়েও খেতে পারেন। তবে এটি রান্না করে বা সিদ্ধ করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খাওয়াতেই সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে।