
বাঁশ ইংরেজি নাম Bamboo,
বাঁশ বৈজ্ঞানিক নাম Bambusa Polymorpha,
জগৎ Plantae,
শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Monocots, Commelinids,
বর্গ Poales,
পরিবার Poaceae,
উপপরিবার Bambusoideae,
মহাগোত্র Bambusodae,
গোত্র Bambuseae Kunth ex Dumort,
বাঁশ কাষ্ঠল চিরহরিৎ উদ্ভিদ। এটি ঘাস পরিবারের সদস্য। বাঁশ বিশেষভাবে বাংলাদেশে জন্মে। বাঁশ গাছ সাধারণত একত্রে গুচ্ছ হিসেবে জন্মায়। এক একটি গুচ্ছে ১০-৭০/৮০ টি বাঁশ গাছ একত্রে দেখা যায়। এসব গুচ্ছকে বাঁশ ঝাড় বলে। বাঁশ অনেকাংশে নলাকার, ভেতর ফাঁপা, উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর ব্যাস ৭ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। তুলনামূলকভাবে সুস্পষ্ট গাঁট থাকে ৪০ থেকে ৬৫ সেন্টিমিটার পরপর। দুটি গাঁটের মধ্যবর্তী স্থান ছাই-সবুজ বর্ণ। গাঁটগুলো পরিচ্ছন্ন। শুরুতে বাশেঁর গায়ে হালকা রোম দেখা যায়। এটি চিরসবুজ উদ্ভিদ ও সপুষ্পক সবীজ। চিকণ বাঁশ পাতার বর্ণ সবুজ, পাতা একে অপরের ঠিক বিপরীতে গজায়। সাধারনত ২০-২৫ পর বাঁশগাছে ফুল হয়। বাঁশের ফল অনেকটা যবের মতো দেখতে। বেলে মাটি থেকে কাদা মাটি নানা রকম মাটিতে তল্লা বাঁশ অনায়াসে জন্মে। গ্রাম থেকে শহর সর্বএই ঘর তৈরী থেকে শুরু করে শবদাহের সময় পর্যন্ত বাঁশের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাগজ শিল্পে ও বাঁশ ব্যবহৃত হয়। বাঁশ গাছের শিকড়, পাতা, ছাল, গোড়া, ও কাঁটা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাঁশ বাংলাদেশ সহ থাইল্যান্ড, ভারতও মিয়ানমারে জন্মে।