নাগেশ্বর গাছ | 20fours
logo
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:১০
নাগেশ্বর গাছ
নাগেশ্বর গাছ
Desk

নাগেশ্বর গাছ

নাগেশ্বর( Iron Wood Tree) মাঝারি আকারের চিরসবুজ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mesua nagassarium (Burm.) Kost (M.ferra Linn.)। এটি Clusiaceae পরিবারভূক্ত। এর প্রচলিত নাম নাগেশ্বর, ইউনানী নাম নারমুশ্‌ক ও আয়ুর্বেদিক নাম নাগকেশর, নাগীসরপাতা।  সরল, প্রতিমুখ, সরু লম্বাটে ও সাদা আভাযুক্ত চকচকে। এ গাছে অসংখ্য ফুল হয়। এই ফুলের কলিকে নাগকেশর বলা হয়। ফুলের বর্ণ সাদা। স্বাদে সুমিষ্ট ও সুঘ্রাণ বিশিষ্ট। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পরিপক্ক ফল সংগ্রহ করে তা রৌদ্রে শুকিয়ে বীজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বীজ অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। অঙ্কুরোদগম হতে ৩-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। বীজ তলায় মাটি ও গোবরের মিশ্রন হতে হবে ১:৪ অনুপাতে। চারার দূরত্ব ৪ থেকে ৫ মিটার হওয়া প্রয়োজন। এক হতে দুই বৎসর বয়সের চারা রোপণের জন্য বেশী উপযুক্ত। এই গাছ বাংলাদেশ ও ভারতে জন্মে। নাগেশ্বর গাছের ফুল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রাসায়নিক উপাদানঃ

নাগেশ্বর ফুলে উদ্বায়ী তেল, তিক্ত উপাদান, বিটা-এমাইরিন, বিটা-সাইটোস্টেরল; বিচিতে অনুদ্বায়ী তেল এবং ফলে একটি তেল রজন বিদ্যমান।

উপকারিতাঃ

১। নাগেশ্বর ফুল রাতে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে কচলিয়ে ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু সামান্য মিছরি বা মধুসহ সেবন করলে অর্শরোগ ভালো হয়।

২। নাগেশ্বর ফুল ও জৈন চূর্ণ মিশিয়ে পানিসহ সেবন করলে যকৃত ও পাকস্থলী ভালো থাকে।

৩। নাগেশ্বর ফুল চূর্ণ করে খেলে শরীরের জ্বালা পোড়া ভালো হয়।

৪। নাগেশ্বর ফুল পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি সেবন করলে রক্ত পরিষ্কার হয়।

৫। কৃমি সমস্যা হলে নাগেশ্বর ফুল চূর্ণ করে খেলে কৃমি ভালো হয়।

৬। নাগেশ্বর ফুল খেলে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়।