তমাল (Mottled Ebony) গাছ মাঝারি আকারের চিরসবুজ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Diospyros cordifolia। এটি Ebenaceae পরিবারের সদস্য। তমাল গাছ মাঝারি আকারের বৃক্ষ। কাঠ শক্ত, গাছের বাকল ধূসর। পাতা গাঢ় সবুজ, উজ্জ্বল, ১০-১৫ ইঞ্চি লম্বা ও ৩-৪ ইঞ্চি চওড়া। তমালের কাণ্ড খাটো, ঘনকালো গিঁটযুক্ত । এর শাখা-প্রশাখা ছড়ানো এবং ছত্রাকৃতি। ফুল সাদা, পুরু ও খসখসে। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে হলদে রঙের, মসৃণ, গোলাকার, দেখতে অনেকটা আপেলের মতো, তবে ফলের নিচের দিকটা সূচাল এবং বাঁকা। ফলের ৩-৪টি বীজ থাকে, বীজ লম্বাকৃতি এবং দেখতে কাঁঠালের বীজের মতো। বসন্তকালে ফুল ও তারপরে ফল হয় এবং গ্রীষ্মে ফল পাকে। পাকা ফল অমস্ন-মধুর, সুস্বাদু। জ্যাম তৈরির জন্যও ফল সংরক্ষণ করে রাখা হয়।তমালের বীজে পাওয়া যায় বিটুলিনিক অ্যাসিড এবং ১.৫% তেল। পাকা ফল অল্পমধুর, সুস্বাদু, লোকে খায়৷ তমাল গাছ বেড়ে উঠতে সময় লাগে৷ এই ফলের বীজ থেকে একধরনের মাখন তৈরি করা হয়ে থাকে। এই গাছ বাংলাদেশ ও ভারত সহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়ায় জন্মে। তমাল গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। তমালের কচি পাতা কলাপাতায় জড়িয়ে তার ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে আগুনে সেঁকে নিয়ে সেই ঝলসানো পাতার রস খেলে আমাশয় ভালো হয়।
২। তমাল বীজ দিয়ে তৈরি মাখন পায়ের ফাটা স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৩। তমাল ফলের রস পানি ও মিছরি মিশিয়ে পান করলে জ্বর ভালো হয়।
৪। তমাল ফলের রস মধুর সাথে মিশিয়ে চেটে খেলে কাশি কমে যায়।
৫। তমালের নরম ডাল পানিতে পিষে ফোঁড়ায় দিলে ফোঁড়া দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
৬। তমালের পাকা ফল খেলে খাবারের অরুচি ভাব কেটে যায়।