বাবলা | 20fours
logo
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:০৭
বাবলা
বাবলা
Desk

বাবলা

বাবলা( Gum arabic tree) একপ্রকার উদ্ভিদ। এর  বৈজ্ঞানিক নাম Acacia nilotica। Fabaceae গোত্রের Acacia গণের এক প্রকার উদ্ভিদ। সংস্কৃতে নাম বলা হয় বর্বুর। ছোটখাট গাছটি কাটায় ভরা।বাবলা গাছের আদি নিবাস আফ্রিকা। বাবলা গাছের পাতাগুলি অনেকটা তেঁতুল পাতার মতো দেখতে। এই গাছের গায়ে কাঁটা হয়। কাঁটার জন্য এই গাছ গরু - ছাগল খেতে পারে না। এই গাছ সর্বোচ্চ ২৪-৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কাণ্ড সরল এবং গাছের উপরিভাগ ছাতার মতো বিস্তৃত হয়। এর কাণ্ড অত্যন্ত শক্ত। বাকল ফাটা ফাটা এবং ধূসর বর্ণের। এর ফুল মিষ্টি গন্ধের, গোলাকার, রঙ উজ্জ্বল হলুদ। ফুলের ব্যাস ১ থেকে ১০ ইঞ্চি। ফুলগুলো উভলিঙ্গ। পাপড়ির সংখ্যা ৫টি, পাপড়িগুলোর গোড়ার দিক সংযুক্ত থাকে। পুংকেশর অসংখ্য এবং বিযুক্ত অবস্থায় থাকে। এর ফল হয় শীতকালে। ফল ৩-৬ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং ১/২ ইঞ্চি চওড়া হয়। তবে ফলগুলো চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। এর রঙ সাদা। ফলে ৮-১০টি বীজ থাকে।এর কাঠ খুব শক্ত। বাংলাদেশ ও আফ্রিকা ছাড়াও ভারত উপমহাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ায় এই গাছ পাওয়া যায়। এই গাছের পাতা,ছাল,বাকল,ফুল ও ফল সবই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতা:

১। কাশি হলে বাবলা ফল শুকনো করে চূর্ণ করে চিনি মিশিয়ে সেবন করলে কাশি কমে যায়।

২। যদি পাতলা পায়খানা হয় এবং আম থাকে তাহলে বাবলা গাছের পাতা সেদ্ধ করে চিনি মিশিয়ে সেই পানি সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

৩। শিশু স্তন পান করার সময় অনেক ক্ষেত্রে স্তনে ক্ষত হয়। তখন বাবলা গাছের ছাল থেঁতো করে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে ক্ষত স্হান ধুলে ক্ষত ভালো হয়ে যায়।

৪। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে বাবলা গাছের পাতার রস গরম করে কুলকুচি করলে উপকার হয়।

৫। পা মচকে গেলে বাবলা গাছের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।