ল্যাভেন্ডার (lavender) এটি একটি বর্ষজীবী গুল্ম। এর বৈজ্ঞানিক নাম Lavendula spp। এটি Lamiaceae পরিবারের সপুষ্পক উদ্ভিদের ৩৯টি প্রজাতির একটি গণের নাম। এই গাছ প্রায় ১-২ মিটার লম্বা হয়। সবুজ পাতাগুলো ২-৬সেমি লম্বা, ৪-৬মিমি চওড়া হয়। ফুলের রঙ ল্যাভেন্ডার(pinkish-purple)। লম্বা মঞ্জরীদন্ডে ছোট ছোট ফুল, সুগন্ধি।এদের ফুলে বেশ গন্ধ থাকে যার কারণে মশা দূরে থাকে। এজন্য বাড়ির দেয়ালের কাছ ঘেঁসে লাগানো হয়। ফুল শুকিয়ে চায়ে দিয়ে খায় অনেকে। এছাড়া, ল্যাভেন্ডারের ব্যবহার হয় রান্নার মশলা হিসেবে, হার্বাল মেডিসিনে। ল্যাভেন্ডার এখন বাংলাদেশও চাষ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়ায় এই গাছ জন্মে। ল্যাভেন্ডার ও এর তেল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। শরীরের যেকোন স্হানে ব্যথা যেমনঃ জয়েন্টে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা। এসব ব্যথা হলে ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
২। যাদের টেনশন এবং মানসিক চাপ একটু বেশি থাকে। তারা ঠিক মত ঘুমাতে পারে না।আর অনিদ্রার কারণে মাথা ব্যথা হয়। তাদের জন্য ল্যাভেন্ডার তেল হতে পারে খুবই উপকারী থেরাপি। এজন্য ঘুমাতে যাবার আগে সামান্য পরিমাণ ল্যাভেন্ডার তেল বালিশে ছিটিয়ে মেখে নিন। এর সৌরভে আপনার ভালো ঘুম আসবে।
৩। ল্যাভেন্ডার তেল চুলে লাগালে চুল খুব ভালো থাকে।
৪। ত্বকের কোষ মরে গেলে বা ত্বক খসখসে হলে ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। পোকা মাকড় কামড়ালে সেই কামড়ের জ্বালা পোড়া কমাতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল নিয়ে কামড়ানো জায়গাটিতে লাগালে জ্বালা পোড়া কমে যাবে।
৬। খাবারের সাথে ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করলে বদহজম, পেটে ফাঁপা, পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব ভালো হয়।
৭। ল্যাভেন্ডার তেল ঘাড়, বুকে মালিশ কিংবা নিঃশ্বাসের সাথে ব্যবহার করলে শ্বাস সংক্রমণ রোগ উপকার হয়।
৮। শরীরের কোথাও কেটে গেলে কাঁটা জায়গাটিতে ল্যাভেন্ডার অয়েল লাগালে রক্ত পরা বন্ধ হয় ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কমে যায়।