গাছ চিনুনঃ আঙুর | 20fours
logo
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৪০
গাছ চিনুন
গাছ চিনুনঃ আঙুর
Desk

গাছ চিনুনঃ আঙুর

আঙ্গুর ইংরেজি নাম Grape 
 
আঙুর বৈজ্ঞানিক নাম Vitis vinifera
 
আঙ্গুর এক প্রকারের ফল যা লতা জাতীয় দ্রাক্ষালতা গাছে ফলে থাকে। গাছে ৬ হতে ৩০০টি পর্যন্ত আঙুর এক সাথে একই থোকায় ধরে থাকে। এর রঙ কালো, নীল, সোনালী, সবুজ, বেগুনি-লাল, বা সাদা হতে পারে। পাকা আঙুর সরাসরি খাওয়া হয়, বা এটি দিয়ে রস, জেলি, আঙুর-বীজের তেল তৈরি করা হয়। আঙুরকে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। বন্য আঙুরলতা অনেক ক্ষেত্রে পরগাছা হিসাবে অন্য গাছকে গ্রাস করে ফেলে। আঙ্গুর চাষের জন্য বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় যে স্থানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রৌদ্র থাকে অথচ পানি দাঁড়ায় না এমন জায়গা নির্বাচন করে আঙ্গুর চাষ করা যায়। যদি বাড়ির আশেপাশে বা আঙ্গিনায় জায়গা না থাকে বিশেষ করে শহর অঞ্চলে তারা বাড়ির ছাদে টবে আঙ্গুর চাষ করতে পারেন।আঙ্গুরের বিভিন্ন ধরনের প্রচুর জাত রয়েছে। এসব জাতের মধ্যে উন্নতমানের হলো- থম্পসন , পুসা, বিউটি , পারলেট, আনার-ই-শাহী, চিমা সাহেবি, কালি সাহেবি (কালো), ভোকাবি, খলিলি, আর্লি মাস্কাট, হোয়াইট মালাগা ইত্যাদি। বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপযোগী জাতের নাম ‘পার্পেল´। এ জাতটি এদেশে ভালো জন্মে। আঙ্গুর চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় মার্চ-এপ্রিল মাস। আঙ্গুর চাষের জন্য মাটি হতে হবে, দো-আঁশযুক্ত লালমাটি, জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটি।আঙ্গুর থেকে কিসমিস তৈরি করা হয়। ভারতের দক্ষিনাঞ্চলের উঞ্চ আবহাওয়ায় আঙ্গুরের চাষ হলেও এতদিন বাংলাদেশে এখনও আঙ্গুর চাষে সফল হতে পারেনি।আঙ্গুর সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের মাটি ও আবহাওয়া জন্মাতে পারে।আঙ্গুর বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।