গাছ চিনুনঃ কৃষ্ণচূড়া | 20fours
logo
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৪৩
গাছ চিনুন
গাছ চিনুনঃ কৃষ্ণচূড়া
Desk

গাছ চিনুনঃ কৃষ্ণচূড়া

কৃষ্ণচূড়া বৈজ্ঞানিক নাম Delonix regia

জগৎ Plantae

বিভাগ Magnoliophyta

শ্রেণী Magnoliopsida

বর্গ Fabales

পরিবার Fabaceae

উপপরিবার Caesalpinioideae

গোত্র Caesalpinieae

গণ Delonix

প্রজাতি D. regia

দ্বিপদী নাম Delonix regia (Boj. ex Hook.) Raf.

কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এটি গুলমোহর নামেও পরিচিত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাকা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপী ছড়ায়। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিভিন্ন বিশ্বের অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধক গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত।
কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল। পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বাংলাদেশে বসন্ত কালে এ ফুল ফোটে। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচুড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে। এই গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত,  ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, হংকং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীনে জন্মে। কৃষ্ণচূড়া ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।