কলা ইংরেজি নাম Banana
কলা বৈজ্ঞানিক নাম Musa spp
জগৎ উদ্ভিদ,
শ্রেণীবিহীন সপুষ্পক উদ্ভিদ, মনোকোট্স, কমেলিনিড্স,
বর্গ জিঞ্জিবেরালেস,
পরিবার মুসাকিয়া,
গণ মুসা,
প্রজাতি এম. একুমিনাটা,
কলা একবীজপত্রী উদ্ভিদ। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল। সকল উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশগুলোতে কলা ভালো জন্মে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল। কলা দেশের যে কোনো স্থানে প্রায় যে কোনো প্রকার মাটিতে জন্মে। এদেশে কলা চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, সারা বছর দেশের প্রায় সব অঞ্চলের উঁচু জমিতেই চাষ করা যায়। এছাড়া পার্বত্য এলাকার ‘বন কলা’, ‘বাংলা কলা’, ‘মামা কলাসহ বিভিন্ন ধরণের বুনোজাতের কলার চাষ হয়। কলার গাছ, পাতা, কান্ড সবই সবুজ। কাঁচাকলাও সবুজ, পেকে গেলে হলুদাভ হয়। কলা কাঁচা পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। কলার চারা বছরে তিন মৌসুমে রোপণ করা যায়। প্রথম মৌসুম মধ্য জানুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ। দ্বিতীয় মৌসুম মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে। তৃতীয় মৌসুম মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য নভেম্বর। কলা বাংলাদেশ সহ সর্বত্র জন্মে। কলা ঔষধ হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। কারন প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় আছে পানি ৭০.১%, আমিষ১.২%,ফ্যাট (চর্বি) ০.৩%,খনিজ লবণ ০.৮% আঁশ ০.৪%,শর্করা ৭.২%,মোট ১০০.০%,খনিজ লবণ এবং ভিটামিন,ক্যালসিয়াম ৮৫মি.গ্রা.,ফসফরাস ৫০মি.গ্রা.,আয়রন ০.৬মি.গ্রা. ভিটামিন-সি, অল্প ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ৮মি.গ্রা., মোট ক্যালরি ১১৬।