মাশরুম ( Mushroom) ব্যাঙের ছাতার মতো এক ধরণের ছত্রাক জাতীয় গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Calocybe indica। এটি Tricholomataceae পরিবারভূক্ত। সাধারণ খাবার উপযোগী মাশরুম Agaricus ও Pleurotis গণের প্রজাতি। সচরাচর দৃষ্ট বিষাক্ত প্রজাতি Lepiota ও Amanita গণভুক্ত।বিশ শতকের শুরুতে ইউরোপে প্রথম মাশরুমের উদ্ভব। মাশরুম অত্যন্ত সুস্বাদু সবজি। বাংলাদেশেও আধুনিক খাবার হিসেবে মাশরুমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটছে। মাশরুমের ছাতাটির ব্যাস ৫ থেকে ১৫ সে.মি.। ছাতার দন্ড ৫ থেকে ১০ সে.মি. এবং প্রস্হ ১.৫ থেকে ৪ সে.মি. হয়ে থাকে। ছাতা প্রথমে উওলাকার পরে প্রায় সমান্তরাল, মসৃন ত্বকযুক্ত,কিনারা যুক্ত থাকে। তবে পরিনত অবস্থায় এতে চিড় বা ফাটল ধরে না। বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রায় ২০ প্রজাতির ব্যাঙের ছাতার মধ্যে ৫-৬টি বিষাক্ত। বনজ কিছু ব্যাঙের ছাতা পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা খায়। সারাবছর জুড়ে মাশরুমের চাষ করা হয়। এটি বাংলাদেশ সহ ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া, ও মধ্য আমেরিকায় এর চাষ করা হয়। মাশরুম খাওয়ার পাশাপাশি ঔষধি হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রাসায়নিক উপাদান:
মাশরুমে যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইরিটাডেনিন, লোভাষ্টটিন, এনটাডেনিন, কিটিন এবং ভিটামিন বি,সি ও ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,কপার, সেলিনিয়াম ইত্যাদি।
উপকারিতা :
১। মাশরুমে সোডিয়ামের পরিমাণ খুবই কম থাকে। এতে উচ্চমাত্রার আঁশ এবং প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
২। মাশরুম নিয়মিত খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।
৩। মাশরুম নিয়মিত গ্রহণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে।
৪। রক্তে আয়রনের পরিমাণ খুব কমে গেলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং যার ফলে মানসিক অবসাদ, মাথার যন্ত্রণা এবং হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য মাশরুম খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। নিয়মিত মাশরুম খেলে ক্যান্সার টিউমার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৬। মাশরুম শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত কার্যকরী।
৭। জন্ডিস হলে মাশরুম খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৮। আমাশয় নিরাময় করতে মাশরুমের উপকারিতা অনেক।
৯। মাশরুম খেলে খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।
১০। মাশরুমের খনিজ লবণ রয়েছে তাই মাশরুম খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।