কনকচূড়া | 20fours
logo
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:০৯
কনকচূড়া
কনকচূড়া
Desk

কনকচূড়া

কনকচূড়ার আকৃতি বিরাট। এর বৈজ্ঞানিক নাম peltophorum pterocarpum। এটি লেগুমিনোসি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদ। এই গাছ প্রায় ২০ মিটার উঁচু। এরা শাখায়িত পত্রমোচি, বড় গাছ। পাতা কালচে সবুজ ও রুক্ষ। প্রধান কাণ্ড খাড়া, ধূসর বর্ণ ও মসৃণ। পাতা দ্বিপক্ষল, যৌগিক। শাখার আগায় দীর্ঘমঞ্জরিতে হলুদ ফুল হয়। গ্রীষ্মের শুরুর ফুল খুবই সুন্দর। এদের ফল তামাটে। Peltophorum অর্থ ঢালবাহী, ঢালের মতো ফলের আকৃতির জন্য এই নামকরণ। ফুলের পর গুচ্ছ গুচ্ছ ফলে গাছ ভরে উঠে। বীজ ১-৩টি। বীজে চাষ করা যায়। বসন্তে মুকুলিত হওয়ার আগেই এদের কচি পাতার সবুজে গাছ সম্পূর্ণ ভরে যায়। পত্রাক্ষ রোমশ এবং পত্রিকার ফুল গাঢ় হলুদ, মৃদু সুগন্ধি এবং শাখায়িত মঞ্জরি ঊর্ধ্বমুখী। গ্রীষ্মের শুরু প্রস্ফুটনের কাল। কনকচূড়ার ফল শিমের মতো, কৃষ্ণচূড়ার ফলের মতো বিশালাকৃতির নয়। দুই থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা হয় ও রং তামাটে। ফুলের মতো ফলও প্রচুর হয় বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে। ছায়াতরু হিসাবেও কনকচূড়া সমাদরযোগ্য। সারা বর্ষাকালে কয়েক বার বিক্ষিপ্তভাবে ফুল ফোটে। কনকচূড়া বাংলাদেশ সহ শ্রীলঙ্কা, আন্দামান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় জন্মে। কনকচূড়ার ভেষজ গুন রয়েছে।

উপকারিতাঃ

১। কনকচূড়ার মূলসহ পাতা দুধের সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করুন।  এই ক্বাথ সকাল বিকেল সেবন করলে অর্শ রোগ ভালো হয়।

২। কনকচূড়ার পাতা ভালোভাবে সিদ্ধ করে সকাল বিকেল সেবন করলে পুরাতন আমাশয়ে উপকার পাওয়া যায়।

৩। মাড়িতে ক্ষত দেখা দিলে কনকচূড়ার মূল সিদ্ধ করে,  এই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মাড়ির ক্ষত ভালো হয়।

৪। কনকচূড়ার মূল সিদ্ধ করে সকাল বিকেল সেবন করলে রক্তপিও ভালো হয়।