পোস্ত | 20fours
logo
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:১০
পোস্ত
পোস্ত
Desk

পোস্ত

পোস্ত হলো এক ধরণের তৈলবীজ যা আফিম থেকে পাওয়া যায়। হাজার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন সভ্যতার লোকজন এই ছোট বৃক্কের মত দেখতে বীজটি চাষ করে আসছে। পোস্তদানা এক মিলিমিটারের কম লম্বা, কিডনির মত দেখতে এবং ছোট ছোট গর্ত বিশিষ্ট বহিরাবরণ যুক্ত হয়ে থাকে। এই বীজগুলো আস্ত অথবা গুঁড়ো অবস্থায় বিভিন্ন খাদ্যে একটি মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি পিষে পোস্তদানার তেল তৈরি করা হয়। ৩,৩০০ টি পোস্তদানায় মাত্র এক গ্রাম ওজন হয় এবং ১ থেকে ২ মিলিয়ন পোস্তদানায় এক পাউন্ড হয়ে থাকে। এর প্রাথমিক গন্ধ যৌগ হলো ২-পেন্টেলফিউরান। কোনো কোনো এলাকায় পোস্তদানা চাষ করার ক্ষেত্রে আফিম চাষ করা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। বীজের শুটি শুকিয়ে যাওয়ার পর যখন পোস্তদানা পেকে যায় তখন সবচেয়ে উৎকৃষ্টমানের পোস্তদানা সংগ্রহ করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে, আফিম সংগ্রহ করা হয় যখন বীজের শুটি সবুজ এবং তার ভেতরে প্রচুর কষ থাকে, কিন্তু সবেমাত্র বীজ জন্মাতে শুরু করেছে এমন সময়।
পোস্তর কাছাকাছি অন্য গাছের বীজ খাওয়া হয় না, কিন্তু ফুলের জন্য সেগুলো চাষ করা হয়। যেহেতু এদের উৎপাদন প্রক্রিয়া জটিল নয় এবং জানুয়ারিতে সরাসরি মাটিতে লাগানো যায় তাই, একবর্ষীয় এবং দ্বিবর্ষীয় পোস্তগুলো বীজের মাধ্যমেই বেশি চাষ হয়ে থাকে। পোস্ত বাংলাদেশ ও ভারত সহ সর্বত্র জন্মে। পোস্তর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

পুষ্টিগুণঃ

পোস্তদানায় অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে রয়েছে শর্করা, শক্তি, প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে খনিজ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম।

উপকারিতাঃ

১। শরীরে খুব গরম বেড়ে যায় তখন মুখে আলসার বা ঘা হয়। পোস্ত দানা শরীরকে ঠান্ডা রাখে আর ফলে মুখের আলসার হতে দেয় না। পোস্ত বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে মুখের আলসার থেকে হওয়া ব্যথায় তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়া যায়।

২। পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, তাই কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে। কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করতে শুকনো ভাতের সঙ্গে পোস্ত বাটা খান।

৩। যাদের ইনসমনিয়া আছে তাঁরা পোস্ত বাটা আর চিনি মিশিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খান দেখবেন তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।

৪। ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়, ফলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকে।

৫।  ক্যালসিয়াম আর ফসফরাস থাকায় হাড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে। জয়েন্ট পেইন বা হাড় ফুলে গেলে তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়ার জন্য পোস্ত বাটা লাগান।

৬।  বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ, যেমন চুলকানি বা র‌্যাশের সমস্যায় স্বাভাবিক ওষুধের কাজ করে পোস্ত। ঘন করে পোস্ত বেটে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। এ বার ভাল করে মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

৭।  ক্যালসিয়াম,আয়রন আর কপার থাকায় ব্রেনের কর্মক্ষমতায় উন্নতি ঘটে।

৮। পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকাংশেই বেড়ে যায়।