সেগুন | 20fours
logo
আপডেট : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ১০:২০
সেগুন
সেগুন
Desk

সেগুন

সেগুন (Teak) একটি বৃহদাকার পর্ণমোচী বা পাতাঝরা উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tectona grandis। এই গাছ উচ্চতায় ৪০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে । এর কান্ডগুলো ধূসর বাদামি রংয়ের । পাতাগুলো অনেকটা ডিম্বাকার এবং মাঝে বেশ চওড়া, দৈর্ঘ্যে ১৫–৪৫ সে.মি. (৫.৯–১৭.৭ ইঞ্চি) এবং প্রস্থে ৮–২৩ সে.মি. (৩.১–৯.১ ইঞ্চি) । পাতাগুলো শক্ত বোটার দ্বারা কান্ডের সাথে যুক্ত থাকে এবং বোটা গুলো দৈর্ঘ্যে ২–৪ সে.মি. (০.৮–১.৬ ইঞ্চি) হয়ে থাকে । পাতার প্রান্তগুলো সমান। সুগন্ধি সাদা ফুল গুলো ২৫–৪০ সে.মি. লম্বা আর ৩০ সে.মি. ছড়ানো গুচ্ছের মধ্যে জুন থেকে আগস্ট মাসে ফুটে থাকে। সেগুন গাছের ফুল আকারে ছোট, রং সাদা এবং সুগন্ধ যুক্ত আর এর পাতা আকারে বড় এবং পেছন দিকে ছোট আঁশ থাকে ।সেগুন গাছের কাঠ বেশ শক্ত হয় এবং আসবাবপত্র বানাতে সেগুন কাঠের ব্যবহার সমাদৃত।  সেগুন গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ভারত, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া জন্মে।
সেগুন গাছের সবকিছুই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

১। সেগুন গাছের বাকল ছিলে পানিতে ভিজিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।

২।  সেগুন গাছের বাকলের নির্যাস শক্তিবর্ধক। তাই সেগুনের বাকল সিদ্ধ করে সেবন করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৩। সেগুন গাছের মূল গুঁড়ো করে খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।

৪। সেগুন গাছের বীজের সাদা অংশ দিয়ে তেল তৈরি হয়। এই তেল ভেষজ কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৫।  ফসল পাখির আক্রমন থেকে বাঁচাতে সেগুন গাছের ডাল কলম করে লাগিয়ে চাড়ার মত করে ক্ষেতের পাশে লাগালে পাখির আক্রমন থেকে বাঁচা যায়। এই গাছে পাখি বাসা বানায় না এমনকি বসেও না।