লতাকস্তুরী | 20fours
logo
আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ২২:৪৬
লতাকস্তুরী
লতাকস্তুরী
Desk

লতাকস্তুরী

লতাকস্তুরী (Abelmoschus moschatus) একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। এই গাছ ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু হয়ে থাকে। গাছগুলো অনেকটা ঢেঁড়স গাছের মতো লোমযুক্ত। পাতাগুলো হৃৎপি- আকৃতিতে ৩-৪ ভাগে বিভক্ত। কা-ের অগ্রভাগে হালকা পিত্তবর্ণ ও মাঝখানে বেগুনি বর্ণের ফুল হয়। ফল দেখতে ঢেঁড়সের মতো বেঁটে। ফলের মধ্যে অনেক বীজ হয়। বীজ থেকে ভেসে আসে মৃগনাভির মতো সুতীব্র ঘ্রাণ। ফলের রঙ হলুদ, মাঝে বেগুনী। ফল লম্বায় ছয় সেন্টিমিটার, ডগা সূচালো ও রোমযুক্ত। ফলের মধ্যে কালো রঙের বীজ হয়।
আর এ কারণেই এটিকে বলা হয় লতাকস্তুরী বা মশকদানা। লতাকস্তুরীর বীজ, পাতা ও ফুল বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের মহৌষধ হিসেবেও এটি বিশেষভাবে পরিচিত। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে লতাকস্তুরী জন্মে।

উপকারিতাঃ

১। লতাকস্তুরীর বীজের গুড়া ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করে সর্পদংশনের চিকিৎসা করা হয়।

২। লতাকস্তুরী বীজ পাকস্থলীর রোগে, লিওকোর্ডোমা ও অন্যান্য চর্মরোগে, কুষ্ঠরোগে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

৩। লতাকস্তুরীর বীজ তিক্ত মধুর রসযুক্ত, শুক্রবর্ধক,শীতবীর্য,শ্লেষ্মা ও পিপাসানাশক।

৪। শরীরিক দুর্বলতায় ও হৃদরোগে লতাকস্তুরীর চুর্ণ দুই রতি মাত্রা মধু অথবা মিছরির পানিসহ পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

৫। পেট ফাপা দেখা দিলে লতাকস্তুরীর বীজ মধু মিছরির পানিকসহ সেবন করলে পেট ফাঁপায় উপকার পাওয়া যায়।

৬। লতাকস্তুরীর ফুল ও পাতার রস গনোরিয়া নিবারক।