চায়া (Aerva lantana) একটি বর্ষজীবী বীরুৎ। একে ইংরেজীতে Mountain Knot Grass বলা হয়। এটি মাটিতে সামান্য গড়িয়ে বা শক্ত খাড়া হয়ে জন্মে। গোড়া কাঠের মতো শক্ত, শাখা তুলোর মতো লোমযুক্ত। বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট ৩০-৪৫ সে.মি. লম্বা। এ গাছটি যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে তখন দেখতে সত্যিই অপূর্ব লাগে। পাতা ছোট বোঁটাযুক্ত, প্রায় গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতি, ধূসর-সাদা এবং নরম রোমাবৃত। ফুল সবুজাভ সাদা ছোট, পাতার কোলে কোলে যেন সাজানো মনে হয়। ফুল হালকা সুগন্ধ যাক্ত। ফল খুব ছোট, ডিম্বাকৃতি, ডগা বা শীর্ষ সূঁচের মতো সরু, বীজ কালো। বর্ষাকালে গাছ জন্মে। বাংলাদেশের সর্বত্র এই গাছ জন্মায়। এই গাছের ঔষধি গুনাগুন রয়েছে।
১। চায়া গাছ কষায় তিক্ত। চায়া গাছের রস খেলে কটুবিপাকে উপকার পাওয়া যায়।
২। চায়া গাছ সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সেবন করলে অতিশয় রোগ দ্রুত ভালো হয়।
৩। মূত্রকর, বাতশ্লৈষ্মিক দোষনাশক দেখা দিলে চায়া গাছ খুবই উপকারী।
৪। প্রস্রাবে জ্বালা, প্রদাহ ও তলপেট ভারী হলে কাঁচা গাছ কুচি কুচি করে কেটে থেঁতো করে পানিতে সেদ্ধ ছেঁকে ঠাণ্ডা করে সকাল-বিকেল সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। চায়া গাছের সিদ্ধ পানি বা ক্বাথ সেবন করলে মূত্রাশয় ও কিডনীতে পাথুরি জমলে অপসারিত হয়।
৬। ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তে চিনি কমানোর জন্য ছায়া গাছ সিদ্ধ করে এই ক্বাথ পানিসহ সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।