গাছ চিনুনঃ কেয়া | 20fours
logo
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:৩৭
গাছ চিনুন
গাছ চিনুনঃ কেয়া
Desk

গাছ চিনুনঃ কেয়া

বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus odoratissimus

জগৎ Plantae

শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Monocots

বর্গ Pandanales

পরিবার Pandanaceae

গণ Pandanus

প্রজাতি P. tectorius

দ্বিপদী নাম Pandanus tectorius Parkinson


কেয়া গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছ লম্বায় ৩ থেকে-৪ মিটার হয়ে থাকে। এ গাছের কাণ্ড গোলাকার এবং কাটাযুক্ত। কাণ্ড থেকে শাখা প্রশাখা বের হয়। এর পাতা ৩ থেকে-৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা এবং ৫-৬ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। পাতার কিনারায় করাতের মত কাঁটা বিদ্যমান। অনেকটা আনারসের পাতার মতো। এই গাছের পাতা কাণ্ড থেকে সরাসরি পত্রমূল ছাড়াই বের হয়। পাতার গোড়া কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকে। পাতার অগ্রভাগ সরু এবং মাটির দিকে অবনত থাকে। পাতার রঙ সবুজ এবং উভয় তল মসৃণ। এ গাছের গাছের নিম্নদেশ থেকে মোটা শাখা পর্যন্ত বেশ কিছু মূল বের হয়ে মাটিতে ভিত্তি তৈরি করে। এগুলোকে ঠেসমূল বলা হয়। এই মুল গাছের কাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে মাটির সাথে যুক্ত করে এবং গাছের ভারবহনে সহায়তা করে। এ গাছগুলো পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে নিবিড় এবং দুর্গম পরিবেশ তৈরি করে। কেয়া ফল ১৫-১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। ফল কমলা, পীত বা ধুসর হয়। অনেকে এই ফল খায়। কেতকী তিতা স্বাদের। এই গাছের ফুল থেকে সুগন্ধী তেল তৈরি করা হয় যা কেওড়া তেল নামে অবিহিত। এই ফুল থেকেই বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় কেওড়ার জল বিশেষ করে ভারতের রাজস্থানে এর সুগন্ধি বরফী, রসমালাই, রসগোল্লা, পিঠা সহ নানারকমের মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার হয়। কেয়ার গন্ধ গভীর ও মাদকতাপূর্ণ। গন্ধে পাগল হয়ে ভ্রমর দল ছুটে যায়। কিন্তু ফুলে মধু নেই, আছে কাঁটায় ভরা রাশি রাশি লম্বা। এই গাছ বাংলাদেশ সহ   ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, জাপান প্রভৃতি দেশে প্রচুর জন্মে। কেয়া গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।