গর্জন (Niger/Rantil) মূলত রাজসিক শ্রেণির বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Guizotina abyssinica। এটি Compositae গোএের অন্তর্ভুক্ত। এই গাছ প্রায় চিরসবুজ ধরনের। আর উচ্চতার দিক থেকে ৪০-৫০ মিটারের মতো উঁচু হতে পারে। পাতা ডিম্বাকৃতির, শিরা সুস্পষ্ট, ১০ থেকে ১৮ সেমি লম্বা, আগা চোখা ও গোড়ার দিকে গোলাকার। বোঁটা ৩ থেকে ৭ সে.মি. লম্বা। লালচে সাদা রঙের ফুলগুলো ৬ থেকে ৮ সেমি চওড়া হতে পারে। ফল শুকনো ও পাখাযুক্ত। ফুল ফোটে বসন্তের শেষ ভাগে আর ফল পাকে মে-জুনে। গাছের আঠা সাদা রঙের। গর্জনের কাঠ লালচে বাদামি রঙের। বীজে ৩০-৫০% তেল এবং ২০% প্রোটিন রয়েছে। কাঠের তেল উৎকৃষ্টমানের জ্বালানি ও ঘুণ পোকা নিরাময়ে কাজে লাগে। মিয়ানমারে নৌকা তৈরিতে এ গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়। গর্জন গাছ বাংলাদেশ সহ সর্বত্র জন্মে। এই গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। গর্জন গাছের কষ খেলে আলসার ভালো হয়।
২। গর্জন গাছের কষ লাগালে দাদ দ্রুত ভালো হয়।
৩। আমাশয় রোগ দেখা দিলে দিলে গর্জন গাছের ছাল করে সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সকাল বিকেল সেবন করলে আমাশয় ভালো হয়।
৪। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে গর্জন গাছের কষ নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়।