কালোকেশী( False Daisy) বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Eclipta alba। এর শাখা লতানো। এর শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে। লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালচে, রসে ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপরীতভাবে/একান্তরভাবে বের হয়। কালোকেশীর পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি, চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোটে। কালোকেশীর ফুল সাদা রঙের। অনেকগুলো সাদা সাদা রঙের পরাগনালী। ফল গাঢ় সবুজ। প্লটের মতো। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মতো। এই ফল ফেটে বীজ পড়ে মাটিতে এমনিতেই চারা গজায়। এই গাছ বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। এই গাছের সর্বত্র অংশই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রাসায়নিক উপাদানঃ
কালোকেশীতে প্রচুর পরিমানে রাসায়নিক উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এতে রয়েছে কমোস্টেনস, ভিডালেকটন, ডাইমিথাইলভিডালেকটন, পলিপ্যাপটাইড, পলিসাইটোলিনস, স্টেরয়েড, ফ্ল্যাভিনয়েড, ট্রিটারপিন যা খুবই উপকারী।
উপকারিতাঃ
১। মাথা ব্যথা কালোকেশী পাতার রস দুই ফোঁটা নাকের ভিতরে ও কপালে মালিশ করলে ব্যথা দূর হয়।
২। নারিকেল তেলের সাথে কালোকেশীর রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়।
৩। মাথায় উকুন হলে কেশরাজ পাতার রস মাথায় ব্যবহার করলে উকুন ভালো হয়।
৪। কালোকেশীর পাতার রস খেলে লিভার ভালো থাকে।
৫। কালোকেশীতে রয়েছে অ্যামিডোপাইরিন এন। তাই এর রস জন্ডিস দূর করতে সাহায্য করে।
৬। কালোকেশীর পাতার রস নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৭। কালোকেশীর রস নিয়মিত সকাল বিকেল সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮। কালোকেশী পাতার রস নিয়মিত পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কৃমি দূর হয়।