গিমা শাক | 20fours
logo
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১১:১৮
গিমা শাক
গিমা শাক
Desk

গিমা শাক

গিমা( Gima, Jima, Bitter Cumin, Maita, Maitakaduri shak, Indian Chickweed, Kangkong) একটি লতানো শাক। এর বৈজ্ঞানিক নাম Glinus oppositifolius। এটি Molluginaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। চিকন ডাল বিশিষ্ট এই শাক ঝপালো হয় ও মাটিতে লেগে থাকে। ছোট ছোট সবুজ পাতা হয়। এদের ফুল সাদা বর্ণের। গিমা শাক আগাছার মতো জন্মায়। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাধারনত লোকেরা গিমা শাক রান্না করে খায়। এর শুধু পাতা খাওয়া হয়ে থাকে যা তিতা স্বাদের। গিমা শাকের কান্ড, পাতা, ফুল সবই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গিমা শাক বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।

পুষ্টিগুণঃ

গিমা শাকে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম গিমা শাকে রয়েছে ক্যালোরি ২২ কিলোক্যালোরি, ফ্যাট ০.৬২ গ্রাম, শর্করা ১.৬ গ্রাম , খাদ্য আঁশ 8 গ্রাম ও প্রোটিন ২.২৯ গ্রাম। ভিটামিন- সি ৭.০৩ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিনয়েডস ৭৯৬ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি১, বি২, ই ও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাংগানিজ রয়েছে।

উপকারিতাঃ

১। নিয়মিত গিমা শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।

২। গিমা শাক খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমে যায়।

৩। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গিমা শাক দারুণ উপকারী।

৪। গিমা শাকের মূল সিদ্ধ করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়।

৫। নিয়মিত গিমা শাকের রস খেলে পাকস্থলী ভালো থাকে।

৬। গিমা পাতার রস এবং আধা কাপ আমলকী ভেজানো পানি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।

৭। গিমা শাক খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়।

৮। চোখ উঠলে বা চোখ ব্যথা করলে গিমে পাতা দিয়ে সেক দিলে উপকার পাওয়া যায়।

৯। গিমা শাকের রস খেলে জন্ডিস দ্রুত ভালো হয়।