সজনে একটি পরিচিত সবজি। রন্ধন এবং নানা চিকিৎসায় এ গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। প্রায় ৩০০ রকম অসুখের চিকিৎসা হয় এই গাছ দিয়ে। সবাই সজিনার ডাল ,তরকারি গুণ জানি কিন্তু সজনে পাতাও যে শাক হিসেবে খাওয়া যায়, এটা সবাই জানি না। তেল-রসুন দিয়ে রান্না সজিনে খেতে শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিকরও। একই ভাবে সজিনা শরীরকে বিশুদ্ধ রাখে। সজিনাকে আজকের বিশ্বে ‘সুপার ফুড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলুন,জেনে নেই সজিনার উপকারীত সম্পর্কেঃ
১) পুষ্টির ভান্ডারঃ
সজিনাতে আছে ভিটামিন, প্রটিন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি আয়রনও আছে। আয়রনের দিক থেকে এটি পালং শাকের চেয়ে ৫ গুণ বেশি শক্তিশালী।
২) এন্টিঅক্সিডেন্টের খনিঃ
সজিনার পাতাকে খনি বলা হয় এন্টিঅক্সিডেন্টের ।উল্লেখ্য, এসব উপাদানই মানবদেহের জন্য উপকারী।,ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রক্তের চাপ ও শর্করা কমাতে কাজে দেয়। সজিনা পাতায় বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার সৃষ্টিতে বাধা দেয়।
৩) ডায়েবেটিস প্রতিরোধকঃ
এতে আইসোথিয়োকাইনেটস নামের উপাদান আছে যা ডায়াবেটিস কমায়। প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজিনার পাতা খেয়ে ডায়াবেটিস ২১ শতাংশ কমানো সম্ভব।
৪) তেলেসমাতিঃ
সজিনার বীজের তৈরি তেল সত্যিই উপকারী। দীর্ঘদিনের লিভারের রোগীর জন্য এ তেল খুব উপকারী। সজিনা গ্রহণে খাদ্যের গুণগত মান অটুট থাকে। পচনশীল খাবারকে দীর্ঘস্থায়ীত্ব দেয়। বাতের ব্যথা-বেদনায় ব্যবহার করা যায়, তেমনি শীতের আর্দ্রতা থেকে ত্বককে রক্ষা করা, রূপচর্চাতেও এই তেল কাজে লাগে।
৫) কোলেস্টেরল কিলারঃ
ঘাতক কোলেস্টেরলকে হত্যা করে সজিনা আপনার হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। থাইল্যান্ডে বহু বছর ধরে সজিনাকে হৃদরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৩ মাসের ব্যবহারে এটি কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে দেয়।