কলা এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা ভাল জন্মায়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল হিসাবে পরিগণিত। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল।কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভাল উৎস। এতে কঠিন খাদ্য উপাদান এবং সেই সাথে পানি জাতীয় উপাদান সমন্বয় যে কোন তাজা ফলের তুলনায় বেশি। ফলন্ত কলা গাছের কাণ্ডের মজ্জা, যা কলার থোড় হিসেবে পরিচিত। খাবার হিসেবে উপাদেয় আর পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর আজকের লেখাতে থাকছে আপনাদের জন্য কলার মাজার উপকারীতা।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কলার থোড়ের উপকারীতা গুলোঃ
১। হজম সহায়ক ও বিষনাশক: কলার থোড়ের সরবত শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। মুত্রবর্ধক এই খাবার শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করার জন্য আদর্শ। নিয়মিত অন্ত্র থেকে মল অপসারণ সহজ করতে এবং অন্ত্রে প্রয়োজনীয় ভোজ্য-আঁশ সরবরাহের মাধ্যমে হজমেও সাহায্য করে।
২। ওজন কমাতে: থোড়ে থাকা আঁশ শরীরের কোষে জমে থাকা শর্করা ও চর্বি নিঃসরণ প্রক্রিয়াকে মন্থর করে। এটি বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং এতে ক্যালরির পরিমাণও বেশ কম।
৩। বৃক্কে পাথর ও মুত্রনালীর প্রদাহের চিকিৎসায়: কলার থোড়ের শরবতের সঙ্গে এলাচ মিশিয়ে পান করলে তা মুত্রথলিকে আরাম দেয় এবং বৃক্কে পাথর জমা রোধ করে। কলার থোড়ের শরবতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলেও বৃক্কে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। মুত্রনালীর প্রদাহজনীত ব্যথা ও অস্বস্তি দূর করতেও এই শরবত উপকারী।
৪। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা তাড়াতে: নিয়মিত অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলে আপনার উচিত কলার থোড়ের শরবত খাওয়া, যা শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, বজায় রাখে ভারসাম্য। বুক জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ও পেটব্যথা সারাতেও এটি বেশ উপকারী
৫। কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ভিটামিন বি সিক্স’য়ে ভরপুর এই খাবারে আরও আছে পটাশিয়াম, লৌহ এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপাদান। তাই কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ উপকারী।