বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। ইংরেজি নাম Water Lily, White Water Lily, আর বৈজ্ঞানিক নাম Nymphaea nouchail Burm. শাপলা Nymphaeaceae পরিবারভুক্ত জলজ উদ্ভিদ। কাদা মাটির নিচে থাকে যা শালুক নামে পরিচিত। পাতা লম্বা বোঁটাযুক্ত পানির ওপর ভাসমান থাকে। কাদা থেকে লম্বা ডাঁটা যুক্ত ফুলের কলি বের হয়। লাল শাপলা ও সাদা শাপলা বেশি দেখা যায়। তবে নীল রঙের ভিন্ন প্রজাতির শাপলাও পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই শাপলা খাবার হিসেবে খাওয়া যায়? তরকারী হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে এই শাপলার। শাপলা বেশ জনপ্রিয় একটি সবজি। শাপলার রয়েছে একাধিক ভেষজ গুণ। সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ও লাল রঙের শাপলা ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলার লতায় রয়েছে খনিজ পদার্থ ১.৩ গ্রাম, আঁশ ১.১ গ্রাম, ক্যালোরি-প্রোটিন ৩.১ গ্রাম, শর্করা ৩১.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৬ মিলিগ্রাম। শাপলার ফল দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু খইও তৈরি হয়।
আসুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক শাপলা খাওয়ার উপকারীতাঃ
১। শাপলাতে থাকা গ্যালিক এসিড এনজাইম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২। শাপলাতে থাকা ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইড মাথায় রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে মাথা ঠাণ্ডা রাখে।
৩। শাপলা শরীরকে শীতল রাখে, হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় ও পিপাসা দূর করে। প্রসাবের জ্বালা পোড়া, আমাশয় ও পেট ফাঁপায় শাপলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
৪। আয়ুর্বেদিক ঔষুধ বানাতে শাপলার ব্যবহার রয়েছে। এই ঔষধ অপরিপাকজনিত রোগের পথ্য হিসেবে কাজ করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, শাপলায় ডায়াবেটিক রোগের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষুধি গুণাগুন রয়েছে।
৫। শাপলায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এর ক্যালসিয়ামের পরিমাণ আলুর চেয়ে সাত গুণ বেশি।
৬। লাল শাপলা এ্যালার্জী ও রক্ত আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী। শাপলা প্রধানত এ্যাসিডিটি, এ্যানেসথেসিক, সেরোটিক, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে ব্যবহৃত হয়।