তেঁতুল দেখলে জিহ্বায় জল আসেনা এমন লোক মেলা ভার। টকের আধার হিসেবে তেঁতুলকে আমরা চিনলেও তেঁতুলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তেতুলের আদিস্থান সুদান বা দক্ষিন আফ্রিকায় হলেও তেঁতুল বাংলাদেশের কমবেশী সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। তেঁতুল আচার করে খাওয়া হয় বেশি অনেকেই আছেন কাঁচা তেঁতুল লবণ মাখা করে খেয়ে থাকে।পাকা তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে অনেক বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি। আর আয়রনের পরিমাণ নারকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি। আজকের লেখাতে থাকছে তাই আপনাদের জন্য টক স্বাদে ভরা তেঁতুলের যত গুণের কথা।
আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক তেঁতুলের ভেষজ গুণ ও পুষ্টিমাত্রাঃ
১। তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পরোক্ষ উপায়ে শরীরের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ফলে ডায়াবিটিসকে অনেকটাই প্রতিরোধ করে তেঁতুল।
২। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, তেঁতুলে থাকা নানা ভিটামিন এবং খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে উপস্থিত মন্দ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধে তেঁতুল কার্যকর।
৩। তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছালে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান থাকে, ফলে ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৪। তেঁতুলে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া তেঁতুলে বিপুল পরিমাণে বিলিয়াস সাবস্ট্যান্স থাকায় তা হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক মাত্রায় রাখে। ফলে পরিমাণ বুঝে তেঁতুল খেলে তা পেটের অসুখ কমাতে সাহায্য করে।
৫।একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, তেঁতুলে থাকা নানা ভিটামিন এবং খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে উপস্থিত মন্দ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধে তেঁতুল কার্যকর।
এছাড়া তেঁতুল শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে ক্ষিদে কমে যায়। ফলত ওজন হ্রাসে এটি অত্যন্ত উপকারী।